স্ত্রী-২ নায়ক পঙ্কজ ত্রিপাঠির সিনেমার থেকে কোনও অংশে কম নয়, দেখুন ছবিতে

স্ত্রী-২ ছবির নায়ক পঙ্কজ ত্রিপাঠি এবং তৃদুলা তাদের প্রেমের গল্প বলিউডের যেকোনো রোমান্টিক প্রেমের গল্প থেকে কম নয়, প্রথম দর্শনে প্রেম হলেও পরিস্থিতি ছিল কঠিন। তাদের থ্রিলার প্রেমের গল্প এখানে। 

Saborni Mitra | Published : Sep 29, 2024 11:55 AM IST
110
সফল অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি

বলিউডের বর্তমানে থিয়েটারগুলিতে সফলভাবে চলমান ছবি শ্রদ্ধা কাপুর অভিনীত স্ত্রী ছবির নায়ক পঙ্কজ ত্রিপাঠির বাস্তব জীবনের প্রেমের গল্প যেকোনো ছবির থেকে কম নয়, অনেক ছবি এবং ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি তিনি আগে যাকে ভালোবাসতেন তার জন্য যোগ্য পাত্র খুঁজেছিলেন এই বিস্ময়কর বিষয় কি আপনার জানা আছে? 

210
পঙ্কজ ত্রিপাঠির প্রেম

 ভাগ্যক্রমে তার প্রেমিকা তাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবেন না বলে দৃঢ় হয়ে এগিয়ে আসেন ফলে যাকে ভালোবাসতেন তাকেই বিয়ে করার যোগ তার হয়েছিল। তাদের এই প্রেমের গল্প শুনে ছবি প্রেমীরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাহলে পঙ্কজ তিওয়ারি তার প্রেমিকার সাথে প্রথম পরিচয় হয়েছিল, কোথায় কিভাবে তাদের বিস্তারিত প্রেমের গল্প...

310
পঙ্কজ ত্রিপাঠি এবং তৃদুলার প্রথম দর্শনে প্রেম

পঙ্কজ ত্রিপাঠি এবং তৃদুলা তাদের প্রেমের গল্প বলিউডের যেকোনো রোমান্টিক প্রেমের গল্প থেকে কম নয়, তারা যখন প্রথম পরিচয় হয়েছিল তখন দুজনেই ছাত্র ছিলেন। প্রথম নজরেই তাদের মধ্যে এক আকর্ষণ শুরু হয়েছিল। সাধারণত ছবিতে প্রেমিক তার প্রেম त्याগ করে। কিন্তু পঙ্কজ ত্রিপাঠির ক্ষেত্রে স্ত্রী তৃদুলা তার ভালোবাসার কথা সরাসরি পঙ্কজের সামনে বলার কারণে আজ তিনি তার স্ত্রী হওয়ার সাথে সাথে তার বড় অবলম্বন হিসেবে কাছে আছেন। 

410
প্রেম কাহিনি নিজেই বলেছেন

পঙ্কজ এক সাক্ষাৎকারে তার প্রেমের গল্প বলতে গিয়ে বলেছিলেন। তিনি যখন প্রথম তৃদুলার সাথে পরিচয় হন তখন সে নবম শ্রেণীতে পড়ত। এবং তিনি একাদশ শ্রেণীতে পড়তেন। এটি ছিল তাদের প্রথম নজরে প্রেম। কিভাবে তিনি তৃদুলার প্রেমে পড়েছিলেন তা স্মরণ করে ত্রিপাঠি বলেন, সাল ছিল ১৯৯৩ তার বোনের বিয়ের সময়, সেই বিয়েতেই আমি তাকে প্রথম দেখি। টেরেসের বাইরে সে দাঁড়িয়ে ছিল, তাকে প্রথম দেখেই মনে হয়েছিল এই মেয়েকে বিয়ে করে আমার বাকি জীবন কাটাবো। কিন্তু সে কে তার নাম কি তা আমি তখন জানতাম না, 

510
বিয়েবাড়িতে প্রেম

পঙ্কজের জন্য যদি এটি বোনের বিয়ে হয় তাহলে তৃদুলার জন্য এটি ছিল তার ভাইয়ের বিয়ে, এই বিয়েতেই তৃদুলা পঙ্কজের চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। 'ওটা আমার বড় ভাইয়ের বিয়ে ছিল। আমি বিয়ের জন্য সাজতে গিয়ে ঘরের টেরেসের উপরে একটা ছোট্ট ঘরে যাচ্ছিলাম, এই সময় সবুজ এবং বাদামী মিশ্রিত চোখ ওয়ালা একজন ছোট দাড়ি ওয়ালা ছেলে আমাকে পেরিয়ে চলে যায়।

610
বিয়েবাড়িতেই প্রথম দর্শন

এই চোখ জোড়া সারা অনুষ্ঠান আমার চোখের পিছনে ছিল' স্মরণ করে বলেন তৃদুলা। দুজনে দুজনার প্রতি আকৃষ্ট হলেও, তারা কখনোই তাদের মনের কথা বলেনি, এদিকে ৫ মাস অনন্তর দিদিকে দেখার অজুহাতে পঙ্কজ ত্রিপাঠি যখনই তৃদুলার বাড়িতে আসতেন তখন তারা ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দিতেন। 'আমি সকালে স্কুলে যেতাম তাই, রাতে খাবার পর তার সাথে দেখা হত। সেটা আমাদের সময় ছিল। আমরা ধরে বসে গল্প করতাম। এই গল্প চলত ভোর রাত অব্দি।

710
কঠিন পথ প্রেমের

আমরা দুজনেই পড়তে ভালোবাসতাম। তাই পড়া বই নিয়ে, উপন্যাসের চরিত্র নিয়ে, গল্প নিয়ে, লেখকদের নিয়ে কথা বলার মত অনেক বিষয় ছিল' বলেন তৃদুলা। এভাবেই আট বছর কেটে যায়, পঙ্কজ এবং তৃদুলা দুজনেই তাদের ভালোবাসার কথা একে অন্যকে বলতে পারেনি, এই সময় তৃদুলার বাবা এবং ভাই তৃদুলার জন্য পাত্র দেখা শুরু করেন। 

810
তৃতীয় ব্যক্তি আসার মত অবস্থা

আপনি বিশ্বাস করুন না করুন, এই যোগ্য পাত্র খোঁজার কাজে তারা পঙ্কজকেও নিয়ে যান। তার প্রেমিকার জন্য পাত্র দেখতে তৃদুলার ভাইয়ের সাথে পঙ্কজ গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ফিরে এসে তৃদুলাকে বলেছিলেন যে ছেলেকে আমরা দেখে এসেছি সে তোমার জন্য একদম যোগ্য পাত্র হবে খুব ভালো ছেলে।

910
দীর্ঘ বিরহ

এদিকে এই সময় তৃদুলার মনে হয়েছিল যদি সে মুখ না খোলে তাহলে জীবনের সবচেয়ে সুন্দর একটা সম্পর্ক সে হারিয়ে ফেলবে। তাই সেই বিয়ের প্রস্তাব ভাঙেন তৃদুলা এবং পঙ্কজের সাথে কথা বলার জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা করেন। সেই সময় ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় পড়াশোনা করতেন তিনি সেই সময় কতটা কষ্ট হত তা স্মরণ করে বলেন। আমার মনের কথা তাকে বলতে আমার খুব কষ্ট হয়েছিল, কিন্তু সেটা সে বুঝতে পারেনি, তাই তাকে বোঝাতে অনেক সময় লেগে গিয়েছিল। 

1010
শুভপরিণয়

এরপর বছরের পর বছর দূরত্বের সম্পর্কে থাকা এই জুটি প্রতি ১০ দিন অন্তর অন্তর চিঠি এবং ৮ ঘন্টা ধরে ফোনে কথা বলে তাদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতেন। এর সাথে ১২ বছর চলে যায়, শুরু থেকেই তারা আত্মীয় হওয়ার কারণে পঙ্কজ এবং তৃদুলার পরিবারকে রাজি করাতে এই জুটির কেল কয়েক বছর লেগে যায়। এরপর ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি এই জুটি বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৬ সালে এই জুটি এক মিষ্টি কন্যা সন্তানের জনক জননী হন।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos