
ফের খবরে সলমন খান। তবে, কোনও ছবি বা ছবির প্রমোশন নিয়ে নয়। বরং, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কারণে খবরে এলেন ভাইজান। লরেন্স বিষ্ণোই-র সঙ্গে সলমন খানের শত্রুতার কথা সকলের জানা। এবার প্রকাশ্যে এল আরও এক শত্রুর কথা। ঘটনাটি বেশ কিছু আগের।
পানভেলের ফার্মহাউসে সলমন খানকে হত্যার ছক কষে গ্রেফতার হয়েছিলেন দুই ব্যক্তি। শুক্রবার সেই দুই অভিযুক্তকে জামিন দিল আদালত। মুম্বই হাই কোর্টে দেওয়া হল জামিন। গত বছরের এই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল মুম্বই পুলিশ। শুক্রবার গৌরব ভাটিয়া ওরফে সন্দীপ বিষ্ণোই এবং ওয়াসপি মেহমুদ ওরফে ওয়াসিম চিকনাকে জামিন পেল। জামিন দিল বিচারপতি এনআর বোরকার।
অভিযুক্তদের আইনজীবী দাবি করেছেন, সংবাদমাধ্যমের নজর কাড়ার জন্য এই ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছিল। তাদের দাবি সন্দীপ বিষ্ণোই ও ওয়াসিম চিকনা বিষ্ণোই গ্যাং-র সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথন থেকে সলমন হত্যার ছক ফাঁস করেছিল তদন্তকারী দল। তবে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথনের বাইরে ভাইজানকে হত্যা করার প্রসঙ্গে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তথ্য প্রমাণের অভাবের কারণে এই দুই অভিযুক্ত জামিন পেল।
গত বছল সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চলে। ঘটনায় গ্রেফতার হন দুই। ওই দুই অভিযুক্তের যোগ রয়েছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে। তার খবর মেলে পানভেলের ফার্মহাউসে সলমন খানকে হত্যার ছক চলছে। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। জানা গিয়েছিল, শ্যুটিং সেটেও তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে দুজনকে। গৌরব ভাটিয়া ওরফে সন্দীপ বিষ্ণোই এবং ওয়াসপি মেহমুদ ওরফে ওয়াসিম চিকনাকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। তবে, তথ্য প্রমাণের অভাবের কারণে এই দুই অভিযুক্ত জামিন পেল।
এদিকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ভাইজান। মোটা টাকা দাবি করে ফোন এসেছে তাঁর কাছে। এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়েছিল। যে কারণে নিজের নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়ান ভাইজান।