এই ফেসবুক লাইভের সঙ্গে সঙ্গে শিলাজিত একটি অতীত ঘটনাকেও টেনে এনেছেন। বছর খানেক আগের সেই ঘটনায় শিলাজিতের ছেলেকে মাদক রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যদিও, পরে শিলাজিতের ছেলে মুক্তি পান। সেই সময় ফেক নিউজের অভিযোগ এনেছিলেন শিলাজিত এবং তাঁর পরিবার।
সোনামণি এবং শিলাজিত (Sonamani and Shilajit Majumder)। আর তাঁদের ফেসবুক লাইভ (Face Book Live)। যা দেখে সাড়া দিয়েছেন খোদ প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। বাংলা ছবির গত চার দশকের সেরা নায়ক প্রসেনজিত সোনামণি-কে সাড়া দিয়েছেন তাঁর ফেসবুক ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে। আর এরপরই সোনামণি এখন মিডিয়া ফোকাসে। কিন্তু, এহেন সোনামণি-কে নিয়ে খবর করতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ল এক নামী বাংলা দৈনিক। যার জেরে ক্ষুব্ধ শিলাজিত ফেসবুক লাইভ করে রীতিমতো ওই নামী সংবাদপত্রের খবরের বিশ্বাসযোগ্যতায় প্রশ্নচিহ্ন জুড়ে দিয়েছেন।
দিন কয়েক ধরেই গড়গড়িয়া গ্রামের সোনামণিকে নিয়ে লাইভ করছেন গায়ক-অভিনেতা শিলাজিত। এই গড়গড়িয়া গ্রামটি শিলাজিতের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বীরভূমের পাড়ুই থানা এলাকায়। কিন্তু নামী বাংলা দৈনিকে থানা পাড়ুই-এর বদলে সিউড়ির উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়েও ওই বাংলা দৈনিককে কড়া কথাই শুনিয়েছেন বাংলার এই গায়ক-অভিনেতা।
আরও দেখুন, সোনামোনির ডাকে সারা দিলেন বুম্বাদা, দিলেন বিশেষ বার্তাও
গড়গড়িয়া গ্রামটিতে শিলাজিতের আত্মীয় থাকেন বলেও নামী দৈনিকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতেও খেপেছেন শিলাজিত। তিনি জানিয়েছেন এই গ্রামটি তাঁর পৈতৃক ভিটে রয়েছে। এখানে তাঁর যাতায়াত জন্মের সময় থেকেই। আর এই গ্রামের অগণতি মানুষ এবং সোনামণি তাঁর পরম আত্মীয়।
নামী সংবাদপত্রের এই প্রতিবেদনে ত্রিশ বছরের সোনামণির ছবির জায়গায় একটি ছোট্ট মেয়ের ছবি দেওয়া হয়েছে। ছবিটি আবার নিজস্ব চিত্র বলেও দাবি করা হয়েছে ওই সংবাদপত্রের তরফে। রীতমতো কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়ে ওই নামী সংবাদপত্রের সম্পাদককে কথা শোনাতে ছাড়েননি শিলাজিত। খোদ সোনামণি নিজে ওই ছবিটিকে তাঁর ছবি বলে মানতে অস্বীকার করেছেন। নামী বাংলা দৈনিকের এমন ভুলে ভরা প্রতিবেদন দেখে রীতিমতো হাসির রোল উঠেছে শিলাজিতের ফেসবুকে লাইভে অংশ নেওয়া বাকিদের মুখে।
এই ফেসবুক লাইভের সঙ্গে সঙ্গে শিলাজিত একটি অতিত ঘটনাকেও টেনে এনেছেন। বছর খানেক আগের সেই ঘটনায় শিলাজিতের ছেলেকে মাদক রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যদিও, পরে শিলাজিতের ছেলে মুক্তি পান। সেই সময় ফেক নিউজের অভিযোগ এনেছিলেন শিলাজিত এবং তাঁর পরিবার। এই ঘটনার একাধিক তথ্য বিকৃত এবং মিথ্যাচারে ভর্তি ছিল বলেও দাবি করেছিলেন শিলাজিত। এই নিয়ে প্রথমসারির বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। এদিন হাসির ছলে সোনামণিকে নিয়ে ভুলে ভরা প্রতিবেদনকে কটাক্ষ করতে করতে বারবার শিলাজিত ফিরিয়ে এনেছেন ওই ঘটনার কথা। তথ্য যাচাই না করেই সাংবাদিকতার শিলমোহর দিয়ে প্রকাশ করে দেওয়ার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি।
এই মুহূর্তে বাংলা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে শিলাজিত এবং সোনামণির যুগলবন্দি লাইভ। সোনামণি প্রসেনজিত-এর অন্ধ ভক্ত। সেই কথা তুলে ধরে ফেসবুক লাইভ করেছিলেন শিলাজিত। সোনামণির কাতর আর্জি-র ভিডিও দেখে নিজেও একটা ভিডিও পোস্ট করেন প্রসেনজিত। যেখানে প্রসেনজিত সোনামণির শারীরিক সুস্থতা কামনা করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর গ্রামে গিয়ে দেখা করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।