সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর তাঁর অঢাকা দেহের ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। ছবিটি তোলা হয় অ্যাম্বুলেন্স আসার আগে। জানা গিয়েছে, বাড়ির পরিচারিকাই প্রথম সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। সেই পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পরই এই ছবিটি তোলা হয়েছে। যেখানে খাটে শুয়ে থাকা সুশান্তের নিথর দেহ দেখা যাচ্ছে। এবং তাঁর গলায় রক্তের চাপ দাগ। যা দেখলে আর ভোলা সম্ভব নয় মানুষের পক্ষে। তাঁর এই ছবি অধিকাংশ মানুষ নৃশংসের মত শেয়ার করে রেস্ট ইন পিস লেখে। সম্প্রতি সেই সময়েরই সুশান্তের ঘরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে একাংশ নেটিজেনের দাবি, সুশান্তের আঙুল নড়তে দেখা গিয়েছে।
দাবিঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সুশান্তের মরদেহটি ঢাকা দিচ্ছে পুলিশের লোকজন। সাদা চাদর দিয়ে ঢাকা দেওয়া হচ্ছিল সুশান্তের দেহ। একাংশ নেটিজেনের দাবি সেই সময় নাকি সুশান্তের হাতের আঙুল নড়তে দেখা গিয়েছে। ভিডিওটির কোয়ালিটি তেমন ভাল নয়। পিক্সেল ফেটে যাওয়ার কারণে ভিডিওটি পরিষ্কার দেখা যায়নি।
তথ্যানুসন্ধানঃ প্রশ্ন, তাহলে কি বেঁচে ছিলেন সুশান্ত। একের পর এক প্রশ্নে ভরে চলেছে সোশ্যাল মিডিয়া। সুশান্তের ভক্ত থেকে শুরু করে অনেকেই দাবি করেছে সুশান্তের হাতে আঙুল হালকা নড়তে দেখা গিয়েছে। তবে ভিডিওতে কিছুই স্পষ্ট নয়। কীভাবে নড়তে দেখা গেল সেই আঙুল। ভিডিওটি স্লো মোশন অর্থাৎ ভিডিওটির গতি কমিয়ে দিয়ে দেখলেও তেমন পরিষ্কার ধরা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। একটি দলের কথা, সুশান্ত জীবিত ছিলেন। অন্য দলের কথা এমন ভুয়ো খবর ছড়াবার কোনও মানেই নেই। এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফ থেকে কোনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
সিদ্ধান্তঃ কোয়ালিটি খারাপ হওয়ার কারণে একাংশ নেটিজেন দাবি সুশান্তের বাঁ হাতের আঙুল নড়তে দেখা গিয়েছে। ভিডিওর কোয়ালিটি খারাপ হলে অনেক সময় পিক্সেল ফেটে যায়। জুম করতে গেলেই ভিডিওটির কোয়ালিটির আরই খারাপ হতে থাকে। সেই কারণে এই ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখে অনেকেরই মনে হয়েছে সুশান্তের আঙুল নড়েছে। অনেক সময় খুব বেশি ক্যামেরা নাড়িয়ে ভিডিও করলেও কোয়ালিটি খারাপ হয়। এই বিষয়গুলির জন্যই সুশান্তের বেঁচে থাকার প্রসঙ্গটি ওঠে।