
দু-চোখে স্বপ্ন ছিল নামী ফুটবলার হওয়ার। কলকাতার বড় ক্লাবে খেলার। দেশের নাম উজ্জ্বল করার। কিন্তু এমনভাবে অকালেই যে ঝড়ে যাবে এক কিশোর ফুটবলারের ( young footballer) তা ভ্রুণাক্ষরেও টের পাননি কেউ। মাঠে ওয়ার্মআপ (Warm up) করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ, হাসপাতালে নিয়ে গেলে সব শেষে। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর কলকাতার (North Kolkata)শ্যামবাজার (ShyamBazar)এলাকার উত্তর প্রান্তিক ক্লাবের মাঠে। ফুটবল প্রশিক্ষণে গিয়ে মৃত্য়ু হল ১৪ বছরের কিশোরের। নাম সুকদেব সাহা (Sukdeb Saha)। বাড়ি উল্টোডাঙায়। আকস্মিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশীরা। ঘটনায় ক্লাবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মৃত কিশোরের পরিবার।
জানা গিয়েছে অনুশীলনে গিয়ে ওয়ার্মআপের জন্য তৈরি হন ছোট্ট সুকদেব। কিন্তু দৌড় শুরু করতেই কিছু দূর গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। প্রশিক্ষণের ছোট ক্লাবে খুব একটা চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিলনা বলেই অভিযোগ। তড়িঘড়ি ওই কিশোরকে নিকটবর্তী আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান চিকিৎসকদের। কারণ এর আগে বেশ কিছু দিন অসুস্থতার কারণে অনুশীলনে যোগ দিতে পারেনননি। দীর্ঘদিন দিন পর অনুশীলনেযোগ দেওয়ার সময় কর্তৃপক্ষ সুকদেব জিজ্ঞেস করেছিল তিনি সুস্থ কিনা। হ্যা বলেছিল সুকদেব। তারপরই ঘটে যায় এই ঘটনা।
ছেলের মৃত্যুর জন্য উক্ত কোচিং ক্যাম্পকেই দায়ী করেছেন মৃতের দাবি। তাদের অভিযোগ, ফুটবল প্রশিক্ষণের মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো ছিল না। সুকদেবের বাবা গৌতম সাহার অভিযোগ, তাঁকে দেরি করে ডাকার কারণেই ছেলেকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। আগে ডাকলে হয়তো শেষ চেষ্টা করা যেত। ঘটনার পুরো দায় ক্লাবের দিকেই ঠেলেছেন তিনি। তবে তাঁর ছেলে যে পুরোপুরি সুস্থ ছিল না সেই কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে এমন এক কিশোর ফুট বলারের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ফুটবল মহল থেকে শুরু করে অনেকেই।