ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (Emami East Bengal) আর্কাইভ অনুষ্ঠানে এসে ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোরপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যে নতুন ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ঘোষণাও করলেন তিনি।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলার দুই প্রধান ফুটবল ক্লাবে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১০ অগাস্ট মোহনবাগানের নতুন তাবুর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর ১৭ অগাস্ট ইস্টবেঙ্গলের আর্কাইভ উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোহনবাগানে সবুজ-মেরুণ পারের শাড়ি পড়ে গিয়েছিলেন , ইস্টেবেঙ্গলে গেলেন লাল-হলুদ পারের শাড়ি পড়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বরণ করার জন্য তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হল 'দিদি ১০০' লেখা জার্সি। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হল লাল-হলুদের শতবর্ষের বিশেষ জার্সি। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও এদিন ইস্টবেঙ্গলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। এছাড়াও অনুস্থানে উপস্থিত ছিলেন বিকাশ পাঁজি, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, সমরেশ চৌধুরী, মেহতাব হোসেন, রহিম নবি, অ্যালভিটো ডি কুনহার মত প্রাক্তন ফুটবলাররাও ছিলেন অনুষ্ঠানে।
এদিন অনুষ্ঠানে উদ্বাস্তু মানুষদের লড়াইকে কুর্নিশ জানান মুখ্যমন্ত্রী। মোহনবাগানের মত ইস্টবঙ্গলকেও ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সমসংখ্যক টাকা দেন মহমেডান এফসিকেও। একইসঙ্গে ইস্টববেঙ্গল সমর্থকদের আস্বস্ত করেন আগামি কয়েক বছর আইএসএল খেলার জন্য লগ্নিকারী নিয়ে ভাবতে হবে না। ইমামির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের সম্পর্ক যে দীর্ঘ মেয়াদী হতে চলেছে সেই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,'দুই বছর আগে মোহনবাগান আইএসএল-এ খেলার জন্য এটিকে-র সঙ্গে জুড়ে গেল। তাই শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গেও জুড়ে গিয়েছিল ইনভেস্টর। তবে ওরা এ বার পিছিয়ে গেলেও সমস্যা হয়নি। কারণ, ইমামির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের সম্পর্ক অনেক দিন ধরে চলবে। সেটা আপনাদের জানিয়ে গেলাম। চিন্তা করার দরকার নেই।' লাল-হলুদের আর্কাইভেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন,'ইস্টবেঙ্গলের আর্কাইভ দেখছিলাম। এটা শুধু দেশ নয়, বিদেশের আর্কাইভের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। আমি সিএবি, মোহনবাগান ও অন্য ক্লাবকেও বলব আপনারাও এমন সংগ্রহশালা গড়ে তুলুন।'
এদিন ইস্টবেঙ্গলের অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন,'এই অনুষ্ঠান চলার মাঝেই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলাম। ওঁর সঙ্গে কথা বলে জানলাম, আমাদের রাজ্যে কোনও ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় নেই। অনেক ছেলেমেয়ে, ক্রীড়া প্রশিক্ষক তৈরি হবে সেখান থেকে। খেলাধুলো নিয়ে পড়াশোনা করা যাবে, শিক্ষিত হওয়া যাবে। চিন এ ভাবেই খেলাধুলোয় এত উন্নতি করেছে। চুঁচুড়ায় বেসরকারি উদ্যোগে একটা ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। যে-ই এগিয়ে আসুক, জমি নিয়ে ভাবতে হবে না।' প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে মমতাকে আজীবন সদস্যপদ দিয়েছিলেন প্রয়াত সচিব দীপক (পল্টু) দাস। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও নতুন তাঁবুর উদ্বোধনে এসেছিলেন মমতা। ক্লাবের শতবর্ষ অনুষ্ঠানেও হাজির হয়েছিলেন তিনি। ফের এলেন লাল-হলুদ তাঁবুতে এসে খুশি মুখ্যমন্ত্রী।