আইপিএল শেষ হয়েছে তো কি হয়েছে। এবার পালা ফুটবলের। শুরু হতে চলেছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ বা আইএসএল। বিগত কয়েক বছরে আইএসলের জনপ্রিয়তায় অনেকটা কমতি দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এবছর আইএসএলসে ঘিড়ে চড়ছে উন্মাদনার পারদ। কারণ অবশ্যই বাংলার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের অন্তর্ভুক্তি। এটিকের সঙ্গে মার্জ হয়ে আগেই আইএসএলে নাম লিখেয়ে ফেলেছিল মোহনবাগান। দেরিতে হলেও শেষ মুহূর্তে আইএসএল খেলার ছাড়পত্র মিলেছে ইস্টবেঙ্গলেরও। শতাব্দী প্রাচীন দুই ক্লাবের ইন্তর্ভুক্তিতে অন্য মাত্রা পেয়েছে ২০২০-২১ মরসুমের আইএসএল।
করোনা আবহে বিদেশের মাটিতে আইপিএল হলেও, আইএসএলের আসর বসতে চলেছে দেশের মাটিতেই। আইএসএলের সপ্তম সংস্করণের সব ম্যাচই হবে গোয়াতে। দর্শকশূন্য স্টেডিয়াম, জৈব সুরক্ষা বলয় এই সবকিছুর পাশাপাশি ইউরোপের ফুটবলের ধাচেও একাধিক নিয়ম এবার লাগু হতে চলেছে আইএসএলে। করোনা আবহে ইউরোপে ফুটবল ফেরার সময় যে নতুন নিয়ম নিয়মগুলি আনা হয়েছিল, সেই নিয়ম এবার দেখা যাবে আইএসএলেও। যে নতুন নিয়মগুলি জারি হতে চলেছে সেগুলি হল-
১. এবারের আইএসএলে প্রতিটি দল ম্যাচ চলাকালীন ৫ খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে পারবে।
২. দলের কোচ খেলা চলাকালীন তিনবারে মোট পাঁচজন খেলোয়াড়কে পরিবর্তন করতে পারবেন।
৩. তবে বিরতিতে কোনও ফুটবলার পরিবর্তন করা হলে সেটিকে গণ্য করা হবে না।
৪. রিজার্ভ বেঞ্চেও ৭ জনের পরিবর্তে সর্বাধিক ৯ জন করে ফুটবলার রাখতে পারবে প্রতিটি দল।
৫. স্কোয়াডকে তরতাজা রাখতে এবং চোট–আঘাতের প্রবণতা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এফএসডিএল কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও করোনা সংক্রমণ এড়াতে প্লেয়ারদের সেলিব্রেশন, বেশি শারীরিক সংঘর্ষে এড়ানো, মাঠে থুতু ফেলার নিষেধাজ্ঞা থেকে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। জৈব সুরক্ষা বল কেউ ভাঙলে তার জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথাও ভাবছে আইএসএল কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে করোনা আবহে আইএসএলে প্লেয়ার, কোচিং স্টাফ, সাপোর্টিং স্টাফ সহ আইএসএলের সঙ্গে যুক্ত সকলের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় এফএসডিএল কর্তৃপক্ষ।