ব্রাজিল বনাম ভারতীয় (Brazil vs India) মহিলা ফুটবল দলের (Womens Football team)ম্যাচ। ম্যাচে ৬-১ গোলে জিতল ব্রাজিল (Brazil_। ভারতের হয়ে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে গোল করে ইতিহাসের পাতায় মনীষা কল্যাণ (Manisha Kalyan)।
ম্যাচ হারলেও ভারতীয় মহিলা ফুটবলের (Indian Womens Football Team)উন্নতির ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য দিন। ফিফা বিশ্ব ব়্যাঙ্কিংয়ে (Fifa World Ranking) সাত নম্বর দল ব্রাজিলের (Brazil)বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলে ফেলল ভারতীয় মহিলা দল। শুধু তাই নয়,ব্রাজিলের মত শক্তিশালী ও প্রাক্তন বিশ্বকাপ জয়ী দেশের বিরুদ্ধে একটি গোলও করল ভারতীয় মহিলা দল। কার্যত একক দক্ষতায় ব্রাজিলের বিরুদ্ধে গোল করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন মনীষা কল্যাণ (Manisha Kalyan)। যদিও ম্যাচে ৬-১ গোলে হারতে হয়েছে ভারতীয় মহিলা দলকে। তবে আশালতা দেবী, দালিমা ছিব্বের, মনীষা কল্যাণদের লড়াই প্রশংসা কুড়িয়েছে ফুটবল মহলের। এই ম্যাচটি ছিল ব্রাজিলের কিংবদন্তী মহিলা ফুটবলার ও ২০০৭ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ফরমিগার শেষ ম্যাচ । খেলা শেষে তার সঙ্গে ফটোও তোলেন ভারতীয় ফুটবলাররা।
আগামি বছর রয়েছে মহিলা এএফসি এশিয়ান কাপ। তারই প্রস্তুতি হিসেবে চার দেশীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় মহিলা দল। সই প্রতিযোগিতাতেই মানাউসে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। এটি ছিল ভারতের ফুটবল ইতিহা, ব্রাজিলের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল হজম করতে হয় ভারতকে। ব্রাজিলের ডিফেন্স চেরা প্রাথমিকভাবে রুখে দেয় ভারতের গোলরক্ষক অদিতি। কিন্তু সেভ করার পর তা গিয়ে পড়ে ডেবোরা অলিভিয়েরা অলিভিয়েরার পায়ে। সেখান থেকে জোড়াল শটে গোল করতে কোনও ভুল করেননি তিনি। ১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণে মাত্রা বাড়ায় ব্রাজিল। একের পর এক আক্রমণে ভারতের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে ব্রাজিল। কিন্তু সেখান থেকে হঠাৎই একক দক্ষতায় গোল করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান মনীষা কল্যাণ। অষ্টম মিনিটে বাঁ-প্রান্ত থেকে একাই উঠে এসে পেনাল্টি বক্সের কিছুটা ভিতর থেকে বাঁ পায়ে শট নেন মনীষা। সেই শট ব্রাজিল গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে যায়। ম্য়াচে সমতা ফিরিয়ে কিছু সময়ের জন্য সকলকে চমকে দেয় ভারত।
গোল খেতেই আত্মসম্মানে আগাত লাগে প্রাক্তন বিশ্বজয়ীদের। তেড়েফুড়ে আক্রমণে ওঠে ব্রাজিল। প্রথমার্ধের বাঁশি বাজার আগেই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় ব্রাজিল। দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করে এগিয়ে দেন জিয়োভানা কোস্তা। খেলার ফল২ -১ করে বিরতিতে যায় সলেকাওরা। সকলেই ভেবেছি দ্বিতীয়ার্ধে লড়াই করবে ভারত। কিন্তু অভিজ্ঞতা ও স্কিলের কাছে মাত খায় আশালতা দেবীরা। জোড়া গোল করেন আরিয়াদিনা বর্জেস। বাকি দু’টি গোল কেরোলিন ফেরাজ, গিজ ফেরেরার। ফলে শেষ পর্যন্ত ম্য়াচে ৬-১ গোলে হারতে হয় ভারতীয় দলকে। তবে কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ব্যবধান আরও কমতেই পারত। এরপর ২৯ নভেম্বর চিলি এবং ২ ডিসেম্বর ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে খেলবেন আশালতারা। সেই ম্য়াচগুলিতে ভালো পারফর্ম করাই লক্ষ্য ভারতীয় মহিলা দলের।