মরশুমের প্রথম ডার্বিতে জয় পেল মোহনবাগান । যুবভারতীতে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল সবুজ-মেরুন শিবির। মোহনবাগানের হয়ে প্রথম গোল আসে বাবা দিওয়ারার পা থেকে। পরে গোল পান জোসেবা বেইতিয়াও। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করলেন মার্কোস।
বছর শুরুর ডার্বির প্রথম ৭০ মিনিট সমর্থকদের আগ্রাসী ফুটবল উপহার দিল মোহনবাগান। সেভাবে নজর কাড়তে পারেনি লাল-হলুদ শিবির। ফলে ম্যাচের ৭০ মিনিটেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এদিন ডার্বিতে বাগানের জয়ের মূল কারিগর স্প্যানিশ জোসেবা বেইতিয়া। আগে বাগানের হয়ে খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি। আজও সমর্থকরা তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিলেন। এদিন দুরন্ত ফর্মে ছিলেন তিনি। নিজে গোল করার পাশাপাশি গোল করিয়েছেন।
ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে সবসময় চাপে রেখেছিলেন বেইতিয়া। তাঁর জন্য মার্কার হিসেবে কাশিম আইদারাকে রেখেছিলেন লাল-হলুদ কোচ আলেজান্দ্রো মেনেন্ডেজ। কিন্তু তাতেকাজ হয়নি। হেডে গোল করে চমকে দিয়েছে গোল লাইনকে। দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেও কর্নার থেকে তার অবদান অনস্বীকার্য। এবারও পারফেক্ট বল রেখে গোল করিয়েছেন তিনি। যার জন্য় মিলেছে ম্যাচের সেরার পুরস্কার।
এদিন ম্যাচের ৭১ মিনিটে খেলার গতির বিপরীতে গিয়ে গোল করেন ইস্টবেঙ্গেলর মার্কোস। এরপর থেকেই আক্রমণের গতি বাড়ায় লাল-হলুদ শিবির। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে হুয়ান মেরার জোরাল শট বারে লেগে ফিরে না এলে সমতা ফেরাতে পারত লাল-হলুদ। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। প্রথমার্ধে ঝকঝকে ফুটবল উপহার দিয়েছে দুই দলই। ম্যাচের ১৮ মিনিটেই বেইতিয়ার গোলে এগিয়ে যায় মোহন বাগান। পার্স্ট হাফেই আরও একবার ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়িয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু, অফসাইড হওয়ায় সেই গোল বাতিল হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান বাবা দিওয়ারা। এটিই মোহনবাগানের জার্সিতে প্রথম গোল তাঁর। এর মিনিট ছয়েকের মধ্যে খেলার গতির বিপরীতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেন মার্কস। তারপর থেকেই খেলার নিয়ন্ত্রণ লাল-হলুদের দখলে চলে যায়। শেষদিকে, বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে তাঁরা। কিন্তু শেষ হাসি হাসে বাগান সমর্থকরা।