খেলর ফল ৩-১। সেই সময়ে এগিয়ে থাকা দলের বিরুদ্ধে রেফারির পায়ে লেগেই গোললাইন পার করল বল। আর তারপর সকলকে আবাক করে গোলের বাঁশি বাজালেন রেফারি। ফলাফল হল ৩-২। এগিয়ে থাকা দলের পুটবলারদের কোনও প্রতিবাদই শোনা হল না। অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে ডাচ লিগের চতুর্থ ডিভিশনের একটি ম্যাচে।
হার্কেমাসে বয়েজ ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলা ছিল হোয়েক ক্লাবের। রেফারি ছিলেন মরিস পারহুইস। প্রথমার্ধেই ৩ গোল করে ফেলেছিল হার্কেমাসে বয়েজ। মাত্র একিট গোল শোধ করতে পেরেছিল হোয়েক। কিন্তু ম্যাচের বয়স যখন ৬৬ মিনিট তখন গোল করার খুব কাছাকাছি পৌঁছিয়ে গিয়েছিল তারা।
হার্কেমাসের রক্ষণ বলটি ক্লিয়ার করলে বক্সের ডান প্রান্তে ৯০ ডিগ্রি কোন থেকে শট আরও একটি শট নিয়েছিলেন হেয়েকের এক ফুটবলার। বলটি সোজা প্রথম পোস্টে ধাক্কা খেয়ে সামনেই দাঁড়িয়ে থাকা রেফারির পায়ে লাগে, এবং বাঁক খেয়ে হার্কেমাসের রক্ষণকে বোকা বানিয়ে গোলে ঢুকে যায়। এই অবস্থায় একমুহূর্ত চিন্তা করেই গোল দিয়ে দেন রেফারি। তবে শেষ পর্যন্ত ওই ম্যাচ ৪-২ গোলে জিতে যায় হার্কেমাসে বয়েজই।
জিতলেও রেফারি ওই গোলটি দেওয়ায় তারা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। প্রতিবাদ জানাতে, ঘটনার ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে। সঙ্গে লেখা রয়েছে, 'এই রকম অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি।' ঘটনাটি শনিবার ঘটলেও তারপর থেকে এই অদ্ভুত গোলের ভিডিও সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। রেফারির ওই ক্ষেত্রে কী করণীয় ছিল, তাই নিয়ে জোরদার আলোচনা চলছে।
Nog nooit meegemaakt dit pic.twitter.com/sGyixN0gFb
— Harkemase Boys (@HarkemaseBoys) May 25, 2019
ফুটবল মাঠের অনেক রেফারিই কিন্তু ফুটবল স্কিলেও অত্যন্ত দক্ষ। মাঝে মধ্যে মাঠে বাইরে থেকে আসা বল পায়ে ধরা বা বল বাইরে বাইরে পাঠানোর সময়, বা অন্য কোনও কারণে তাঁদের সেই দক্ষতার ঝক চোখে পড়ে। কিন্তু, ম্যাচ চলাকালীন রেফারি নিজেই গোল করছেন - এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেছে কিনা তাই নিয়েও চর্চা চলছে। অনেকেই বলছেন রেফারির রিফ্লেক্সের অভাব ছিল। বল পোস্টে লেগে তাঁর পায়ে লাগার মধ্যে যথেষ্ট সময় ছিল। তার মধ্যে সরে যেতে পারতেন তিনি। তাহলে এই অদ্ভুত অবস্থাই তৈরি হত না।