কেন মহাদেবের কপালে আছে তিনটি অনুভূতি রেখা, কেনইবা শিবের জটায় রয়েছে চন্দ্র- জেনে নিন এমন ১০টি অজানা কাহিনি

Published : Jan 17, 2022, 09:10 AM IST

হিন্দু ধর্ম অনুসারে মহাদেব হলেন আদি দেবতা। জটায় চন্দ্র, গলায় সাপ, তাঁর হাতে ত্রিশূল থাকে। তিনি দেবাদিদেব নামে পরিচিত। পর্বতের চূড়ায় থাকেন মহাদেব। তিনি ১০৮টি নামে পুজিত হয় মর্ত্যে। মহাদেবকে নিয়ে রয়েছে একাধিক কাহিনি। বলা হয়, মহাদেবের মাথায় থাকা চাঁদ ইঙ্গিত দেয়, কাল তাঁর নিয়ন্ত্রণে। তাঁর হাতে থাকে ত্রিশূল জ্ঞান, ইচ্ছা ও সম্মানের প্রতীক। জেনে নিন এমনই সকল অজানা কাহিনি।  

PREV
110
কেন মহাদেবের কপালে আছে তিনটি অনুভূতি রেখা, কেনইবা শিবের জটায় রয়েছে চন্দ্র- জেনে নিন এমন ১০টি অজানা কাহিনি

দেবাদিদেব মহাদেব ১০৮টি নাম পরিচিত। নীলকন্ঠ, শিব, মহাদেব থেকে মহাকাল, ত্রিলোকেশ-সহ ১০৮টি নামে পুজিত হন। প্রতিটি নামের আলাদা আলাদা কাহিনি আছে। পুরান অনুসারে, সমুদ্র মন্থনে যে বিষ উত্থাপন হয়েছিল, তা তিনি পান করেছিলেন, তাই তাঁর নাম নীলকন্ঠ। তিনি বিশ্ব জগতের পালনকর্তা। তাই ত্রিলোকশ নামে পুজিত হন। 

210

শাস্ত্র মতে ভগবান শিব পাহাড়ে অধিষ্ঠান করেন। তাঁর চারিদিকে পাহাড়, তুষার দেখা যায়। যা শান্তির চিহ্ন হিসেবে বিবেচিত হয়। 

310

কথিত আছে ভগবান শিব নটরাজ রূপধারণ করেন। কথিত আছে নৃত্য ও সংগীত শিবের সৃষ্টি। তিনি নৃত্যকলা প্রবর্তক। তিনি রেগে গেলে ধংসের নৃত্য পরিবেশন করেন। 

410

মহাদেবের তিনটি চোখ আছে। আর তাঁর কপালে তিনটি অনুভূতি রেখা আছে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে, অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত তিনটি জগত। মহাদেবের দুটি চোখ সূর্য ও চন্দ্রের জন্য আর তৃতীয়টি অগ্নি বা আগুনের প্রতীক। 

510

কথিত আছে, ভগবান শিব অর্ধনারীশ্বর রূপের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। যা অর্ধেক পুরুষ ও অর্ধেক মহিলা। এর অর্থ মহাবিশ্ব পুরুষ ও নারী উভয় শক্তির প্রতীক। 

610

পুরান অনুসারে, ভগবান শিব দেবতাদের শাস্তি প্রদান করেছিলেন। তিনি অন্যান্য দেবতাকে শাস্তি দিয়েছিলেন। ভগবান শিব সকল দেবতাদের সঙ্গে একবার কাশী যাচ্ছিলেন। সকলকে সূর্যোদয়ের আগে উঠতে নির্দেশ দেন। কিন্তু, কেউ তা করেনি। এতে রাগান্বিত হয়ে শিব সকল দেবতাদের শাস্তি দিয়েছিলেন।

710

পুরান অনুসারে, ভগবান শিবের শুরু ও শেষ নেই। তাই শিবলিঙ্গটি নিরাকার। তিনি দেবাদিদেব। হিন্দুদের আদি দেবতা হলেন মহাদেব।  

810

ভগবান শিবের কৃপা পেতে প্রদোষ ব্রত পালনে রীতি বহু যুগ ধরে প্রচলিত। মনে করা হয়, সব মনষ্কামনা পূরণ হয় শিবকে সন্তুষ্ট করতে পারলে। প্রদোষ কালে ভগবান শিব নৃত্য করেন। এই সময় তাঁর প্রার্থনা করলে সকল কষ্ট দূর হবে।  

910

শিব তাঁর জটায় গঙ্গা ধারণ করেছেন। কথিত আছে, ভাগীরথের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে সর্গের নদী গঙ্গা যখন মর্ত্যে নেমে আসেন, তখন প্রচন্ড জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। সে সময় ভগবান শিব গঙ্গাকে তাঁর জটায় ধারণ করেন। 

1010

শিবরাত্রিরের ব্রত পালিত হয়ে আসছে বহু যুগ ধরে। এই শুভ সময় ভগবান শিব ও পার্বতী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সে কারণে শাস্ত্রে সময়টি শুভ দিন হিসেবে বিবেচিত হয়। 

click me!

Recommended Stories