বাড়িতে বাগানের সখ, বাস্তু মেনে গাছ রাখছেন তো, নচেত হতে পারে ভয়ানক বিপদ
একটা ছোট্ট স্বপ্নের বাড়ি হবে, আর তাতে বাগান থাকা চাই, এই স্বপ্ন, কম বেশি অনেকেই দেখে থাকেন। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন সেই বাগানই হয়ে উঠতে পারে অশান্তির কারণ, সুখ চলে যায় পলকে, এই পরিস্থিতিতে বাগান তৈরির আগে অবশ্যই নজরে রাখুন বাস্তুর কিছু নিয়ম।
হিন্দু ধর্মে বিশেষ কিছু গাছপালার গুরুত্ব হিসাবে বিবেচিত হয়। বাস্তুমতে, গাছের চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার ও সুন্দর রাখলে, তা ব্যক্তির জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং ভাগ্যের ক্ষেত্রেও ভাল পরিবর্তন নিয়ে আসে।
বাস্তু মতে বাড়িতে গাছ লাগালে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। হিন্দু শাস্ত্র মতে এটা বিশ্বাস করা হয় যে ঈশ্বরও বাস করেন গাছে। বাস্তুর মতে, তুলসী, কলা গাছ বাড়িতে থাকলে শুভ ফল দেয়।
ঘরে শান্তি বিরাজ করে এবং নেতিবাচক বিষয়গুলি দূর হয়। বাস্তু শাস্ত্র মতে, বাড়িতে কিছু গাছ লাগানো শুভ বলে মনে করা হয়, আবার কিছু গাছ লাগানো ঠিক নয় বলেও বিবেচিত।
তুলসী- হিন্দু ধর্মে তুলসী পাতা ছাড়া কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা পূজার অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয় না। বাস্তু মতে, তুলসী গাছটি বাড়ি থেকে নেতিবাচকতা সরিয়ে দেয়। বাড়ির পূর্ব বা উত্তর-উত্তর দিকে তুলসী গাছ লাগানো শুভ।
কলা গাছ- পুজো পাঠে যেমন তুলসীর গুরুত্ব তেমনি কলা গাছও শুভ বিবেচিত হয়। বাড়িতে এই গাছ লাগালে মন শান্ত থাকে এবং সমৃদ্ধি আসে। বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে কলাগাছটি পূর্ব-উত্তর দিকে রোপণ করা উচিত।
আমলকি - শাস্ত্র মতে আমলা গাছে ভগবান বিষ্ণু বাস করেন। এটি বিশ্বাস করা হয় যে এই গাছ লাগানোর মাধ্যমে সমস্ত প্রকার পাপ বিনষ্ট হয় এবং সমস্ত আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়।
অশোক- বাস্তু মতে, অশোক গাছ বাড়িতে থাকলে সমস্ত ধরণের ত্রুটি দূর হয় এবং ঘর থেকে নেতিবাচকতা দূর হয়। এই গাছটি বাড়ির উত্তর দিকে লাগানো উচিত।
বট গাছ - হিন্দু ধর্মে বট গাছের বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে। এই গাছ দেবতা ও পূর্বপুরুষদের বাসস্থান বলে বিশ্বাস করা হয়। তবে বাস্তু মতে বট গাছ বাড়িতে লাগানো উচিত নয়। বাড়িতে এই গাছ লাগানোর পর তার সঠিক নিয়ন না মানার কারণে দুর্ভাগ্য দেখা দেয়।
তবে ঘরের বাইরে বা মন্দিরের চারপাশে বট গাছকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই গাছে জল দিয়ে করে এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে পূর্বপুরুষদের আত্মারা শান্তি কামনা করা হয়।
এর বাইরে শনি দশা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। বাড়িতে বট গাছের বৃদ্ধি বাড়তি মঙ্গল হিসাবে বিবেচিত হয়। বট গাছ শুদ্ধতার প্রতীক, এমন পরিস্থিতিতে বিবাহিত জীবনে এর পুজো অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়।