তুলসী গাছের চারপাশে এই জিনিসগুলি রাখেন না তো? জলের মতো খরচ হয়ে যেতে পারে টাকা

তুলসীকে বিষ্ণু প্রিয়া বলা হয়। একে মা লক্ষ্মীর বাসস্থান বলে বিশ্বাস করা হয়। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা তুলসী গাছের নিচে প্রদীপ জ্বালানো খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এছাড়াও পূজায় তুলসীর সবুজ পাতা ব্যবহার করা হয়। 

তুলসী গাছের আশেপাশের জায়গা খুব পরিষ্কার হওয়া উচিত। তুলসী শুকিয়ে গেলে বা শুকিয়ে গেলে তা অপবিত্রতার কারণে হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন তুলসীর চারপাশে পরিচ্ছন্নতার যত্ন নেওয়া উচিত।

তুলসীর চারপাশে জুতা, ঝাড়ু বা আবর্জনা রাখা উচিত নয়। এ ছাড়া অন্য ফুল ও পাতা তুলসী গাছের পাশে লাগানো উচিত নয়। আসলে যে পাত্রে তুলসী গাছ লাগানো হয়েছে সেই পাত্রে অন্য গাছ লাগানো ঠিক নয়। তুলসীতে দুধ মিশিয়ে জল দিলে তুলসী সবুজ হয়।

অনেক সময় মানুষ সন্ধ্যায় তুলসীর কাছে জল জ্বালায়। সন্ধ্যায় তুলসীকে জল নিবেদন করা শুভ বলে মনে করা হয় না। এ ছাড়া তুলসীর কাছে জল ভর্তি পাত্র রাখা উচিত নয়। এছাড়াও প্রদীপ শুকিয়ে গেলে সেখান থেকে নিতে হবে, কারণ তুলসীর নিচে প্রদীপ নিভিয়ে রাখা অশুভ বলে মনে করা হয়।

তুলসী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে তুলসী পাতা প্রায় ১৫ দিন ধরে ভগবান কৃষ্ণের জন্য একটি নৈবেদ্য হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

মহিলারা প্রায়শই স্নানের পরে খোলা চুলে তুলসী জল নিবেদন করেন। এই ধরনের ক্ষেত্রে, সৌভাগ্যের জন্য চুল বেঁধে এবং কপালে সিঁদুর লাগিয়ে শুধুমাত্র তুলসীকে জল নিবেদন করা উচিত।

এ ছাড়া ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশুরূপকে স্নান করার সময় তুলসীর শুকনো পাতা জলে ডুবিয়ে রাখতে পারেন। শুধু তাই নয়, স্নান করার জলে শুকনো তুলসী পাতাও মেশাতে পারেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি শরীর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করে।

বাড়িতে ছাত্র ছাত্রীরা তাদের বইয়ের মাঝে শুকনো তুলসী পাতা রাখতে পারে। এতে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বাড়ে, এবং প্রতিটি কাজ ইতিবাচক উপায়ে সম্পন্ন হয়।

তুলসী বাড়িতে রাখা হয় চুন্ডলি দিয়ে ঢাকা। এই ধরনের ক্ষেত্রে, চুন্ডলিটি পুরানো বা ছিঁড়ে গেলে, একাদশী বা কোনও শুভ মুহূর্ত দিয়ে এটি প্রতিস্থাপন করুন।

গঙ্গা জলে শুকনো তুলসী পাতা রেখে সারা ঘরে এই জল ছিটিয়ে দিন। এমনটা করলে ঘরের নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয় এবং পজিটিভ শক্তি বাস করে।