দেশের জাতীয় পাখি হিসেবে নয় ময়ূরের পালক এক শুভ ও মাঙ্গলিক চিহ্ন হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। ময়ূরকে খুব শুভ বলে মনে করা হয়। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ সর্বদা তাঁর মাথায় ময়ূরের পালককে বহন করেন। যে কোনও শুভ কাজে বা মঙ্গলের চিহ্ন হিসেবে ময়ূরের পালক ব্যবহার করা হয়। বাড়িতে ময়ূর পালক রাখার অনেক সুবিধা রয়েছে। বাড়িতে ময়ূরের পালক রাখলে তা বাড়িতে সৌভাগ্য বহন করে আনবে। এটা কি জানেন ময়ূরের পালককে কেন শুভ বা মঙ্গল বলে মনে করা হয়? মনে করা হয় ময়ূরের পালক থেকে বহু ধরণের বাধা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নেওয়া যাক ময়ূরের পালকের ব্যবহারের উপকারীতা-
বাচ্চাদের কু-দৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে ময়ূরের পালককে কার্যকর বলে মনে করা হয়। এর জন্য ময়ূরের পালক রূপোর তাবিজে ভরে ছোটদের পরানো হয়।
28
বাড়িতে কোনও আর্থিক সমস্যা থাকলেও ময়ূর পালক আপনার জন্য কার্যকর হতে পারে। আর্থিক সমস্যার সমাধান হবে।
38
যে কোনও মন্দিরে রাধা-কৃষ্ণের মুকুটে ময়ূরের পালক দান করুন। ৪০ দিনের পরে সেই পালক ফিরিয়ে আনুন। এই পালকটিকে বাড়ির অর্থ রাখার জায়গায় রেখে দিন।
48
বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে ময়ূরের পালক রাখা খুব শুভ হিসেবে বিবেচিত হয়।
58
ঘরের দরজায় ময়ূরের ৩ টি পালক রাখলে নেতিবাচক শক্তি ঘরে আসে না।
68
গ্রহের ফের কাটাতে ময়ূরের পালকে গঙ্গাজল ছিটিয়ে হাতে রেখে ২১ বার গ্রহ শান্তির মন্ত্রটি উচ্চারণ করুন। এরপর উঁচু কোনও স্থানে রেখে দিন।
78
মঙ্গলবার এবং শনিবার ময়ূরের পালকটি দিয়ে বজরঙ্গবলিকে সিঁদুরের ফোঁটা দিন। পরদিন সকালে কোনও রকম বাধা ছাড়া এই পালকটি নদী বা ঝিলের জলে ফেলে দিন। মনে করা হয় যে এটি থেকে শত্রুর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
88
ময়ূরের পালক দরজায় আটকানোর সময় 'দ্বারপালায়া নমঃ জাগ্রয় স্থায়ী স্বাহঃ' এটি লিখে এর নীচে গণেশের একটি মূর্তি স্থাপন করলে, সংসার সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে।