বাড়ির প্রতি কু-নজর, বাস্তু এই নিয়মগুলো মানলেই সুরক্ষিত থাকবে আপনার পরিবার
বাড়িতে থাকা চেনা পরিবেশটা পলকে যাচ্ছে বদলে, কোথাও গিয়ে যেন সেই চেনা ছবিটা আর ধরা পড়ছে না চোখে, সুখ-শান্তি যেন পলকে শেষ হয়ে যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে কোথাও গিয়ে কি পরিবারে খানিক শান্তি ফেরানো যায়! তবে বাস্তুর এই টিপস মেনে চলুন।
বাস্তুশাস্ত্র, এই বাস্তু শব্দটি এসেছে বস্তু থেকে। বাস্তু বলতে সব কিছুকেই বুঝায়- তা একটি স্থান হতে পারে- কিংবা একটা বাড়িও হতে পারে। সভ্যতার শুরু থেকেই ভারতীও উপমহাদেশে শিল্পচর্চাকে ঊর্ধ্বে স্থান দেয়া হয়েছে।
স্থাপত্যশৈলী উপবেদের অন্যতম বিষয়। স্থাপত্য উপবেদ বা স্থাপত্যশাস্ত্র চারটি উপবেদের অন্যতম। প্রায় ৫০০০ বছর ধরে বাস্তুবিদ্যা কালের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রামে জয়ী হয়েছে।
কু-দৃষ্টির ফলে যেমন স্বাস্থ্যহানী হয়, একই রকমভাবে আর্থিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি কাজে বিঘ্নও দেখা দেয়। মনে করা হয়, বাস্তুতে কিছু নিয়ম পালন করে এই কু-নজর এড়ানো যায় সহজেই।
সার্বিক উন্নতি ও কু-নজর মুক্ত বাড়ি রাখতে মেনে চলুন বাস্তুর এই নিয়মগুলি। বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোনে তুলসী গাছ রাখুন। প্রতিদিন নিয়ম করে তাতে জল দিন।
এর ফলে বাস্তুতে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। টেবিলে সব সময় বোতলে বা গ্লাসে জল রেখে তা ঢেকে রাখুন। বাড়ির প্রবেশদ্বারে পাঁচমুখি হনুমানজীর ছবি রাখুন।
প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যার ধূপ দেখান। এদের কু-দৃষ্টির হাত থেকে আপনার বাস্তুকে রক্ষা করে। বাড়ির প্রধাণ দরজায় রুদ্রাক্ষের মালা ঝুলিয়ে রাখুন। সন্ধ্য়ে বেলায় আবার সেটি ঠাকুরের স্থানে রেখে দিন।
সন্ধ্য়ের আগেই বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করে ফেলুন। সন্ধ্যের পর ঘর ঝাট দেওয়া বা পরিষ্কার করা উচিৎ নয়। রাতে ঘর একেবারে অন্ধকার করে রাখবেন না।
শুতে যাওয়ার সময় মাথার কাছে একটি লাল কাপড়ের টুকরো রেখে দিন। দেখবেন অনেক সমস্যা মিটে গিয়েছে এক ধাক্কায়। পরিবারে ফিরে এসেছে সুখ ও শান্তি।