অমিতাভ বচ্চন বলিউডের এমন এক নাম, যে মানুষটি পর্দায় পা রাথার পর থেকে আজ পর্যন্ত সকলের মন জয় করে রেছেন অভিনয়গুণে, তাঁর পর্দার উপস্থাপনা দিয়ে। তবে বলিউড মানেই স্টার, আর স্টার মানেই সাফল্য, যা প্রতিটা মুহূর্তে প্রত্যেকে তারিয়ে নিয়ে বেড়ায়। ছন্দপতন ঘটলেই ময়দান থেকে বাতিল, এমন এক পরিস্থিতি এসেছিল খোদ অমিতাভের জীবনেও...
যত বড়ই অভিনেতা-অভিনেত্রী হোক না কেন একটা সময় সকলেই না পাওয়ার যন্ত্রণা, একা হয়ে পড়া, ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে থাকেন। এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল খোদ অমিতাভ বচ্চনকে।
210
বলিউডের শাহেনশাহ। পর্দায় পা রাখার পর থেকেই তিনি ঝড় তুলেছেন একের পর এক হিট ছবি দিয়ে। প্রথম জীবনে খানিক স্ট্রাগেল থাকলেও পরবর্তীতে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
310
সেই অমিতাভ বচ্চনকেই একসময় কাজ চাইতে হয়েছিল। জানাতে হয়েছিল তাঁর কাছে কিছুই অবশিষ্ট নেই। মানসিক অবসাদ গ্রাস করছিল তাঁকে।
410
সময়টা নব্বইয়ের দশক। তখন অমিতাভ বচ্চনের পর একে একে নতুন তারকারা প্রবেশ করছে বলিউডে। সেই সময় বলিউড থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন।
510
নিউইয়র্কে একটি টিভি শো চালাতেন তিনি। পরবর্তীতে জানিয়েছিলেন সেটা ছিল তাঁর অন্যতম ভুল সিদ্ধান্ত। নিজের একটি সংস্থা খুলেছিলেন অমিতাভ।
610
যা পরবর্তীতে লাভের মুখ না দেখায় তাঁকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। ঠিক এর আগেই বলিউড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এটি ছিল তাঁর জীবনে দ্বিতীয় ভুল।
710
এরপরই অবসাদ গ্রাস করেছিল অমিতাভকে। অর্থের ভার, হাতে নেই ছবি কীভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন বুঝতে পারছিলেন না। এমনই সময় আশার আলো দেখিয়ে ছিল কেবিসি।
810
একের পর এক ফ্লপ ছবি সই করতে থাকেন অমিতাভ, তখন লক্ষ্যে ছিল অর্থ, উপার্জন, তিনি চাইছিলেন বলিউজডে ফিরে আসতে পারছিলেন না।
910
কারণ এই সময় বন্ধ হতে বসেছিল অভিষেকের লেখাপড়া। যা ভাবিয়ে তুলেছিল অমিতাভ বচ্চনকে। তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছিল ছেলের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে।
1010
এমনই সময় একদিন তিনি সিদ্ধান্ত নেন, পাঁচ বছর পর ফিরবেন বলিউডে। তড়িঘড়ি ফোন শুরু করে দেন প্রযোজক সংস্থাগুলিকে। আর হাতে আসে মহাবতে ছবির প্রস্তাব।