আলিয়া ভাটের আইকিউ কতখানি লো তা প্রমাণ হয়েছিল অভিনেত্রীর গডফাদার করণ জোহারের সেলেব্রিটি চ্যাট শো কফি উইথ করণে। সাধারণ জ্ঞানের ন্যূনতম বিদ্যাও যে তাঁর মধ্যে নেই তা তিনি বারে বারে প্রমাণ করেছেন নিজের বিভিন্ন সাক্ষাৎকারের মধ্যে দিয়ে। তাঁকে নিয়ে নানা মিম আজও তৈরি হয়। এই ঠাট্টা অবশ্য বেশ স্পোর্টিংলি নিয়েছিলেন আলিয়া। নিজের লো আইকিউ নিয়েই বরং একটি মজার ভিডিও বানিয়েছিলেন তিনি। তবে যেদিন থেকে অনন্যা পান্ডে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছেন, লো আইকিউয়ের তকমাটি তিনি একেবারে আলিয়ার থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন। তাঁর সাধারণ জ্ঞানের অভাব এতটাই কম, যে আলিয়াকেও টক্কর দিয়ে জিতে গিয়েছেন তিনি।
বলিউডে তাঁরও গডফাদার সেই করণ জোহার। যে ছবির প্রিক্যুয়েলে আলিয়া ভাট অভিনয় করে ডেবিউ করেন। সেই ছবির সিক্যুয়েল স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ারের হাত ধরে ডেবিউ করেন অনন্যা।
215
আলিয়ার মতই উচ্ছ্বল অনন্যা। আলিয়া যেমন বলিউডের নিউকামার হয়ে সমস্ত সাক্ষাৎকারে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উত্তর দিয়েছিলেন, তেমনই অনন্যাও রীতিমত স্মার্ট।
315
সবকিছুতেই দু'জনের মধ্যে মিল বেশ অনেকখানি। যদিও অভিনয় আলিয়াকে টেক্কা দিতে এখনও পারেননি অনন্যা।
415
অথচ একটি বিষয় অভিনেত্রীকে কেবল টেক্কাই দেননি, বরং হারিয়েও ফেলেছেন। তা হল লো আইকিউ। সাধারণ জ্ঞানের বিদ্যা।
515
অনন্যার ডেবিউ হওয়ার আগে আলিয়াকে এতদিন ডাম্বেস্ট অভিনেত্রীর তকমা দিয়েছিল বলিউড সহ নেটিজেনরাও।
615
চাঙ্কি পান্ডের মেয়ের এন্ট্রি হতেই এই তকমায় নিজের আধিপত্ত বিছিয়ে বসলেন তিনি। লো আইকিউ তাঁকে আপাতত হারাবার মত কেউ নেই বললেই চলে।
715
পালং শাক এবং পুদিনা এই দু'টি জিনিস ম্যাডাম চোখেই দেখেননি। স্কুলের পাঠ কবেই চুকিয়ে দিয়েছেন বলিউডে আসতে গিয়ে।
815
তাই হয়তো পালং শাক, পুদিনা পাতা, কারি পাতা কেমন দেখতে হয় তিনি ভুলে গিয়েছেন।
915
কপিল শর্মার কমেডি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন 'পতি পত্নি ঔর ভো' ছবির প্রচারে। সেখানে এসে শাক-সবজির বিষয় নিজের যা জ্ঞান রেখেছিলেন তাতে সকলের মাথায় হাত।
1015
কারিপাতাকে দেখে বার বার বলে গেলেন এটা নয় পালং শাক নয় তো পুদিনা। কার্তিক আরিয়ান, ভূমি পেদনেকর সহ সকলেই তাঁর উত্তরে হেসে উঠেছিলেন।
1115
ভূমি তাঁর ভুল সুধরে বলেও দিলেন যে এটা কারিপাতা। তারপর যখন কপিল তাঁকে ধনেপাতা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেন এটা কী। তখনও তিনি নাম নিলেন পালং শাকের।
1215
ভিডিওটি ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের বিন্দুমাত্র সময় লাগেনি অভিনেত্রীকে নিয়ে মিম বানাতে। ট্রোলের তীরে প্রায় বিদ্ধ হওয়ার মত অবস্থা হয়েছিল অনন্যার।
1315
এই সময় নেটিজেনকেও দোষ দেওয়া চলে না। স্কুলে অনন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীকে শাক-সবজির বিষয় পড়াশুনো করানো হয়, অনন্যার কি তাও মনে নেই।
1415
এইটুকু জ্ঞান তো আলিয়ারও আছে। কমেন্ট সেকশনে আরও একটি পুরনো সাক্ষাৎকার টেনে সকলে লিখেছে, "এই হল অনন্যার 'স্ট্রাগল', অর্থাৎ লড়াই।"
1515
প্রত্যেকে আলিয়ার থেকে ডাম্বেস্ট অভিনেত্রীর শিরোপা সরিয়ে নিয়ে অনন্যাকে উপহার করে ফেলেছেন। এই সাধারণ প্রশ্নের উত্তর যেকোনও ছোট বাচ্চাও দিতে পারে। নেটিজেনরা আজও দাবি করে, অনন্যার আগে পড়াশুনো শেষ করা উচিত ছিল, তারপর বলিউডের স্বপ্ন দেখতে পারতেন তিনি।