২৫ বছর আগে দুজনের সাক্ষাৎ হয়েছিল হালচাল ছবির সেটে। তারপরেই ধীরে ধীরে আলাপ হয়, বাড়তে থাকে বন্ধুত্ব। আর তারপরই মন বিনিময় হয়েছিল দুজনের মধ্যে। আর সেই সময়ে দুজনেরই একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন।
এভাবেই চলতে থাকেন কাজল (Kajol)- অজয় (Ajay Devgn)। ৪ বছর পরেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দুজনে। কাজলের পরিবারের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও কাজল অনড় থাকায় বাধ্য হয়েই মেনে নেন কাজলের পরিবার।
তারপরই ১৯৯৯ সালে পরিবারের লোকজনের সম্মতিতে ঘরোয়াভাবেই বিয়ে সারেন দুজনে। মাঝে কেটে গিয়েছে দুই বছর। সালটা ২০০১। করণ জোহর পরিচালিত 'কভি খুশি কভি গম' সদ্যই মুক্তি পেয়েছে।
আর মুক্তি পেতেই বক্স অফিসে সুপারহিটের তকমা । তাতেও সুখকর ছিল না সময়টা। কারণ ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তখন নানা সমস্যার মধ্যে জড়িয়ে ছিলেন কাজল। '
'কভি খুশি কভি গম' ছবির সময়ই অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন কাজল। আর ছবি মুক্তির দিনই কাজল হাসপাতালে। প্রথম সন্তানের গর্ভপাত। খুবই খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে দিন গুজরান করেছেন দুজনে।
ফের দ্বিতীয় সন্তানের গর্ভপাত। অবশেষে ২০০৩ সালে গর্ভে আসে নাইসা। তার প্রায় ৭ বছর পর জন্ম হয় ছেলে যুগের। জীবনের এই খারাপ সময়ের কথাই শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী।
তবে কোথাও গিয়ে যেন সমস্ত ঝড় কাটিয়ে উঠে অজয়ের সঙ্গে দিব্যি সংসার করছেন কাজল। সঙ্গে দুই সন্তানকে নিয়ে ভালোই আছে এই জুটি। তানহাজি-র পর কবে আবার পর্দায় ফিরবেন তাঁরা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
কাজলের জীবনে এমনই একাধিক ওঠা পড়ার মধ্যে রয়েছে, এই নিয়ে বহু বিতর্ক ছড়িয়েছিল নেট দুনিয়ায়। প্রশ্ন উঠেছে কাজল ও অজয় দেবগণের মধ্যে থাকা সম্পর্ক নিয়েও।
বলিউডে এই জুটির কাহিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নেহাতই কিছু কম নয়। তাই প্রতিটা মুহূর্তেই তাঁরা নয়া নয়া মোড়ে নিজেদের ভেঙে গড়েছেন, ভালোবাসার জায়গা থেকেই কোথাও যেন হারিয়ে যেতে দেয়নি এই জুটি সম্পর্কের স্বাভবিক ছন্দ।