ঋষির মৃ্ত্যুর সঙ্গে ধুলোয় মিশে যাচ্ছে পাকিস্তানের কাপুর হাভেলি, পরিবারের স্মৃতিতে মোড়া সেই ধ্বংসাবশেষ

ঋষি কাপুরের মৃত্যুর রেশ কাটেনি এখনও। কখনও আইসিঅউ থেকে ভাইরাল হওয়া ভিডিও তো কখনও তাঁর অস্থি বিসর্জনের ভিডিও। একের পর এক ভিডিও দেখে বর্ষীয়ান অভিনেতার স্মৃতিচারনায় ভাসছে ভক্তরা। তাঁর প্রয়াণের পাশাপাশি যেন ধস নেমেছে কাপুর পরিবারে। পুরনো হাভেলি যেন মিশিয়ে যাচ্ছে ঋষি কাপুরের মৃত্যুর সঙ্গে। সম্প্রতি পাকিস্তানে কাপুর পরিবারের হাভেলির বেশ কিছু খবর প্রকাশ্যে এসেছে। দিনের পর দিন কোনও রক্ষনাবেক্ষণ নেই। ধুলোর মত মিশে যাচ্ছে মাটিতে। হাভেলির একাংশ আর নেই বললেই চলে। পাকিস্তানের সরকার ভেবেছিল সেই হাভেলি ভেঙে তৈরি হবে মিউজিয়াম। কিন্তু এখন তারও কোনও অবকাশ নেই। মেরামতের কোনও সুযোগ না থাকলেও আজও সেই প্রকান্ড বাড়ি যেন সযত্নে রেখে দিয়েছে কাপুর পরিবারের অসংখ্য স্মৃতি।

Adrika Das | Published : May 4, 2020 12:12 PM IST

112
ঋষির মৃ্ত্যুর সঙ্গে ধুলোয় মিশে যাচ্ছে পাকিস্তানের কাপুর হাভেলি, পরিবারের স্মৃতিতে মোড়া সেই ধ্বংসাবশেষ

পৃথ্বীরাজ কাপুর এই বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এমনকি রাজ কাপুরের জন্ম এই বাড়িতেই। তাই কাপুর পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তানের পেশওয়ার ওতোপ্রতভাবে জড়িত। 

212

সারা হাভেলি জুড়ে পৃথ্বীরাজ কাপুরের ছেলেবেলা অনেক মুহূর্ত ছাপ ফেলে গিয়েছে প্রতিটি দেওয়ালে।

312

পৃথ্বীরাজ কাপুরের বাবা দিওয়ান বসেশ্বরনাথ কাপুর পাকিস্তানের সেই হাভেলি ছেড়ে চলে আসেন ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে।

412

কাপুর বংশের মধ্যে তিনিই প্রথম বলিউডে পা রাখেন। সেই থেকে বলিউডে শুরু হল কাপুর লেগাসি। 
 

512

ভারত-পাকিস্তানের পার্টিশনের আগেই ১৯১৮ থেকে ১৯২২ এর মধ্যে তৈরি হয়েছিল এই হাভেলি। 

612

১৯৪৭-এর পর সেই হাভেলি ছেড়ে চলে আসে কাপুর পরিবার। এক অকশন থেকে বিক্রি হয়ে যায় এই বাড়ি। 

712

পরবর্তীকালে পেশওয়ারের এক বাসিন্দা হাজি ইসরার শাহয়ের কাছে বিক্রি হয় কাপুর পরিবারের এই বাড়ি।

812

আজ হাভেলির ধ্বংশাত্মক চেহারা দেখলে কেউ ধরতেই পারবে না যে প্রতিটি ইঁটে গাঁথা কাপুরদের স্মৃতি।
 

912

বলিউডের শোম্যান রাজ কাপুরের খিলখিল করা হাসি শুনেছে এই প্রকান্ড হাভেলি। একগুচ্ছ স্মৃতি আগলে এই বাড়ি এখন খন্ডরে পরিণত হয়েছে।

1012

ঋষি কাপুরের মৃত্যুর সঙ্গে যেন চলে গেল হাভেলির কিছু অংশও। আরও জীর্ণপ্রায় দশা হয়েছে বাড়িটির।

1112

বর্ষীয়ান অভিনেতা একবার ট্যুইট করে লিখেছিলেন, "আমার ৬৫ বছর বয়স হয়েছে। মারা যাওয়ার আগে একবার পাকিস্তানে যেতে চাই। আমি চাই আমার সন্তানরা ওদের শিকরকে চিনুক। দয়া করে করিয়ে দিন।"
 

1212

তাঁর এই কথাগুলো কেবল আক্ষেপ হিসেবেই রয়ে গেল। আইসিইউর বেডে জীবন-মৃত্যুর মাঝে লড়তে লড়তে কতবার যে কাপুর হাভেলির কথা মাথায় এসেছিল তাঁর, সেই রহস্যও তাঁর মধ্যে থেকেই চলে গেল।

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos