৯ বছর শয্যাশায়ী, মধুবালার শেষ আর্তি ছিল 'আমি বাঁচতে চাই'

Published : May 06, 2020, 12:04 PM ISTUpdated : May 06, 2020, 12:12 PM IST

'বলিউডের মেরিলিন মনরো' অভিনেত্রী মধুবালা, আজও বহু প্রেমিকের হৃদয়ে অবিচল হয়ে রয়ে গেছেন তিনি। চিরকালীন হার্টথ্রব অভিনেত্রী মধুবালার সৌন্দর্যে মোহিত বহু পুরুষ। ভারতীয় সিনেমার সেরা সুন্দরীর তকমা যেন আজীবন তার নামের সঙ্গে জুড়ে থাকবে। পঞ্চাশের দশক  কাঁপানো অভিনেত্রীর শেষের দিনগুলো যেন বড্ড বেশি কষ্টের। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে অত্যন্ত বেদনাদায়ক মৃত্যু  দাগ কেটেছিল সকলের মনে। নিজের মৃত্যুকে নিজেও মেনে নিতে পারেননি। অদম্য বাঁচার ইচ্ছা ছিল মধুবালার। মৃত্যুর শেষ পর্যায়ে এসে একটাই আর্তি ছিল অভিনেত্রীর। সেই বিষাদময় কাহিনি ট্র্যাজিক কাহিনিকেও হার মানায়।

PREV
110
৯ বছর শয্যাশায়ী, মধুবালার শেষ আর্তি ছিল 'আমি বাঁচতে চাই'

বস্তি থেকে উঠে আসা শিশুলিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় স্বল্প সময়ের মধ্যে ছাপ রেখে গিয়েছেন কিংবদন্তী অভিনেত্রী মধুবালা।

210


১৯৩৩ সালে দিল্লিতে দরিদ্র মুসলিম পরিবারে জন্ম হয় মুমতাজ জাহান বেগম দেহলভি। বোম্বে টকিজ ফিল্ম স্টুডিওর কাছে শহরের বস্তিতে বড় হন তিনি। পর্দায় তিনি মধুবালা নামে পরিচিত হন। 

310


বয়স মাত্র ৯ বছর। প্রথম বলিউডে পা রাখেন মধুবালা। বেবি মুমতাজ নামেই তিনি তাঁর প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি ১৪ বছর বয়সে 'নীল কমল' সিনেমায় প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন। এই সিনেমা থেকেই তিনি নাম বদলে হয়ে যান মধুবালা।

410

মধুবালার সৌন্দর্য, সহজাত অভিনয় ক্ষমতা, তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিল।
 

510


১৯৫১ সালে  'তারানা '  সিনেমায় অভিনেতা দিলীপ কুমারের প্রেমে পড়েন মধুবালা। কিন্তু মধুবালার বাবা এই সম্পর্কে হস্তক্ষেপ করেন। 'মুঘল-এ-আজম' সিনেমায় দিলীপ ও মধুবালার রোম্যান্টিক জুটি বলিউডের ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং অবিস্মরণীয়।

610

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া কিছু টুইট থেকে অভিনেত্রীর শেষ জীবনের অনেক অজানা তথ্য উঠে এসেছে। অভিনেত্রীর বোন তার অসুস্থতা নিয়ে মুখ খুলেছেন।

710


'ছলক' ছবিতে অভিনয় করার সময়েই তার হার্টে ফুটো ধরা পড়ে। সেই সময় প্রচন্ড রক্তবমি হতো অভিনেত্রীর। সালটা ১৯৫৪। চিকিৎসক তিন মাসের বিশ্রাম নিতে বলেছিল। কিন্তু শুটিং চলছিল বলে তিনি তা শোনেননি।

810

'মুঘল-এ-আজম' শুটিংয়ের শেষে তার হাত পা নীল হয়ে যেত। এবং জেলের দৃশ্যগুলিকে আরও বাস্তবায়িত করে তুলতে তিনি শ্যুট করার সময়ও খাবার খেতেন না। 

910

শরীরের অসুস্থতার জন্য রক্তের পরিমাণও বেড়ে গিয়েছিল । নাক মুখ দিয়েও রক্ত বেরিয়ে আসত। সারাক্ষণ কাশি হতো। ৪-৫ ঘন্টা অন্তর শ্বাসকষ্টও হতো অভিনেত্রীর।

1010


একটানা ৯ বছর শয্যাশায়ী ছিলেন। নিজের মৃত্যকে নিজেই মেনে নিতে পারেননি। 'আমি বাঁচতে চাই' এই করুন আর্তিই তার মুখ থেকে বারবার বেরিয়ে আসত বলে জানিয়েছেন তার বোন।  মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মারা যান মধুবালা। অসুস্থতার সময় দেখতে না এলেও মারা যাবার পর তাকে দেখতে এসেছিলেন দিলীপ কুমার।

click me!

Recommended Stories