অযাচিত সন্তান ছিলেন কাপুর পরিবারের এই তারকা, গর্ভেই শশী-কে শেষ করতে চেয়েছিলেন তাঁর মা

গেল শতকের সাতের দশকের মাঝামাঝি সময়ে বলিউডি ছবি ‘দিওয়ার’-এর একটি সংলাপ সিনেমা হল কাঁপিয়ে দিয়েছিল। গোটা ছবিতে অমিতাভ বচ্চন রাজ করলেও  শশী কাপুর যখন বলেন, ‘মেরে পাস মা হ্যায়’! তখন কেবলমাত্র প্রেক্ষাগৃহ নয় মাতৃবন্দনায় নন্দিত হয় আসমুদ্র হিমাচল। যেভাবে শশী কাপুর সেই মুহুর্তকে তার অভিনয়ে  ফুটিয়ে তোলেন তাতে বুঝিয়ে দেন ওই মাতৃ বন্দনা কেবল সংলাপ নয় বিশ্বাসী উচ্চারণ।  

Asianet News Bangla | Published : May 9, 2020 11:37 AM IST
111
অযাচিত সন্তান ছিলেন কাপুর পরিবারের এই তারকা, গর্ভেই শশী-কে শেষ করতে চেয়েছিলেন তাঁর মা

অবাক হতে হয়; যখন জানা যায় যে এমন এক মাতৃভক্ত সন্তানকে তাঁর গর্ভধারিনী জন্মের আগেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। জাতীয় পুরস্কার, দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, পদ্মভূষণ থেকে শুরু করে ফিল্মফেয়ার, লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড সবকিছুই রয়েছে যার অভিনয় জীবনের ঝুলিতে সেই শশী কাপুরকে, যদিও শশী নয়; তাঁর আসল নাম বলবীর রাজ কাপুর, তবে শশী নামেই তাঁর পরিচিতি।  তাঁর মা জন্মের আগেই শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। 

211

১৯৯৫ সালে এক সাক্ষাৎকারে তার জীবনের বেশকিছু অজানা কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন শশী কাপুর। জানিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন তার মা রামসারণী মেহরা কাপুরের অযাচিত সন্তান। জন্মের আগেই শশীকে শেষ করে দিতে অর্থাৎ মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন তাঁর মা।
 

311

সাক্ষাৎকারে শশী কাপুর বলেছিলেন, ‘আমার মা আমায় ফ্লুকি বলে ডাকতেন। কারণ, আমাকে এই পৃথিবীতে আনার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না তার।' 

411

শশী কাপুর জানান, 'আমার আগে আমার মায়ের চার পুত্র সন্তান ছিল। রাজ কাপুর ও শাম্মী কাপুরের মাঝে দুই ভাই ছিল যারা মারা যান। তাই ১৯৩৩ সালে আমার বাবা-মা-র কন্যা সন্তান ঊর্মিলা আসার পর যথেষ্ট খুশি ছিলেন তারা।'

511

শশী জানিয়েছিলেন, 'এর ৫ বছর পর ফের সন্তানসম্ভবা হওয়ার খবরে একেবারেই খুশি হতে পারেননি আমার মা। তখনকার দিনে গর্ভপাত করার সুযোগ সেভাবে ছিল না। তাই সাইকেল চালিয়ে, সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে, কুইনাইন খেয়ে আমার মা আমায় নষ্ট করে দেওয়ার অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতেও তার গর্ভের সন্তানটি নষ্ট হয়ে যায় নি। এটা খুব আশ্চর্যের হলেও সত্যি’। ' 
 

611

শশী এসব কথা কীভাবে কার কাছ থেকে জেনেছিলেন তার উল্লেখ করেননি। তবে শশী জানিয়েছিলেন যে ছেলেবেলায় খুব মন খারাপ করে তিনি একবার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন।  

711


শশী কাপুরের কথা অনুযায়ী, তার ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ফল খুব খারাপ হয়েছিল। সেই কারণে সেই সময় তিনি ভীষণভাবে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। বিষয়টা তার বাবার নজরে আসে। তারপর তাকে মাথেরানে ছুটি কাটাতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর দেওলালি এলাকার বার্নেস স্কুলে তাকে রেখে আসেন ভাই শাম্মী কাপুর।

811

কিন্তু সেখানেও শশী কাপুর খুব একা বোধ করতেন। একদিন তিনি সেই স্কুল থেকে বাড়িতে চিঠি লিখলেন যে সেখানকার খাবার একদম ভাল নয়। 
 

911

কিন্তু সেখানেও শশী কাপুর খুব একা বোধ করতেন। একদিন তিনি সেই স্কুল থেকে বাড়িতে চিঠি লিখলেন যে সেখানকার খাবার একদম ভাল নয়। 

1011

চিঠিতে শশী আরও লিখেছিলেন যে তিনি প্রায় দিন না খেয়ে থাকেন। তাকে যেন তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যদি তা না করা হয় তাহলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। পরে তার মা-ই শাম্মী কাপুরকে বলেন ভাইকে স্কুল থেকে নিয়ে আসতে। 
 

1111

শশী জন্মেছিলেন কলকাতায়। সেই বাড়িটি আজও অক্ষত। তার ঠিকানা; ১১৪ নং হাজরা রোড। তাঁর বাবা পৃথ্বিরাজ কাপুর তখন কাজ করেতেন কলকাতার নিউ থিয়েটার্স-এ। সেই সূত্রেই তিনি এই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।    

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos