সুপারস্টারের পতন, ঘুরে দাঁড়ানোর মনোবল যখন হারাতে বসে, তখনই কামব্যাকে বাজিমাত হৃত্বিকের

Published : Jun 24, 2021, 03:55 PM IST

দীর্ঘদিন সংগ্রাম করার পর যখন সফলতা আসে, কিন্তু যদি সফলতার পর হার আসে, তাহলে তাকে সামলানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। ঠিক এমনটাই ঘটেছে বলিউডের এই সুপারস্টারের জীবনে। বলিউডে তিন খানের পর সুপারস্টার হিসেবে সর্ব প্রথম যার নাম মাথায় আসে তিনি হলেন হৃতিক রোশন। অভিনয় দক্ষতার পাশাপাশি তাঁর নাচের স্কিলে কুপোকাত গোটা বলিউড। মহিলা ফ্যান-ফলোয়ারের সংখ্যা অগুন্তি। বলিউডের সর্বাধিক পারিশ্রমিক হাঁকিয়ে থাকা তারকাদের মধ্যেও তিনি একজন। তবে এই হৃতিককেই তাঁর হাতের ৬ টি আঙ্গুল এবং কথা বলার সমস্যার কারনে হীনমন্যতায় ভুগতে হয়েছিলো। এমনকি তাঁর বাবা রাকেশ রোশন একজন পরিচালক হওয়া সত্ত্বেও হৃতিককে সিনিমায় না এসে অন্য কোন জীবিকা বেছে নিতে বলেছিন। ফিরে দেখা হৃতিক রোশন থেকে সুপারস্টার হৃতিক হয়ে ওঠার সফরটা ঠিক কেমন ছিল!

PREV
110
সুপারস্টারের পতন, ঘুরে দাঁড়ানোর মনোবল যখন হারাতে বসে, তখনই কামব্যাকে বাজিমাত হৃত্বিকের

১৯৮০ থেকে ৯০ এর দশকে হৃতিক বেশ কিছু সিনেমায় শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করেন। সেই সময় থেকেই তাঁর ইছে ছিল তিনি বড় হয়ে অভিনেতা হবেন। তবে তাঁর কথা বলার সমস্যার কারণে তাঁর বাবা তাকে উপদেশ দিয়েছিলেন হৃতিক যাতে ভালো করে পড়াশুনা করে অন্যকোন সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত হন।

210

কথার বলার সময় কথা আটকিয়ে যাওয়া, হাতে ১ টি অতিরিক্ত আঙ্গুল থাকার কারণে হৃতিককে বুহুবার অপমানিত হতে হয়েছে। এমনও হয়েছে স্কুলে ওড়াল টেস্টের সময় তিনি শরীর খারাপের বাহানা করে পরীক্ষা দিতে যেতেন না। 

310

তবে হৃতিক হাল ছাড়েননি। ওড়াল-থেরাপির মাধ্যমে তিনি তাঁর কথা বলার সমস্যাকে কাটিয়ে ওঠেন। এর পর তাঁর বয়স যখন ২০ বছর সেই সময় তাঁর বাবা হৃতিককে তাঁর সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করান। তাঁর বাবা চেয়েছিলেন এই কাজের হাত ধরে হৃতিক যাতে সিনেমা কীভাবে তৈরি হয় তা বুঝতে পারেন। এর পাশাপাশি অভিনয় শিক্ষাও গ্রহণ করতে পারেন। 

410

১৯৯৫ সালের বিখ্যাত সিনেমা ‘কারন অর্জুনেও’ সহকারী পরিচালক সিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এই ভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে করতে হৃতিক তাঁর বাবার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। তখন তাঁর বাবা ঠিক করেন হৃতিককে লঞ্ছ করবেন। 

510

২০০০ সালে মুক্তি পেলো হৃতিককের প্রথম সিনেমা ‘ক্যাহোনা প্যার হে’। রাকেশ রোশন পরিচালিত এই সিনেমাটি বক্স-অফিসে ব্যাপক সফলতা পায়। এই সিনেমাটির জন্য হৃতিক ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান, এবং রাতারাতি একজন স্টার হয়ে ওঠেন। 

610

তবে এখানেই শেষ নয়। এর পর ২ বছরে হৃতিক বেশ কিছু সিনেমা করেন। এবং প্রত্যেকটি বক্স-অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। তখন অনেকেই বলে ছিলেন হৃতিক আসলে একটি সিনেমাতে কোন ভাবে হিট হয়ে গেছে। তাকে দিয়ে আর সম্ভব নয়।

710

ঠিক সেই সময় আবারও তাঁর বাবা হৃতিককে নিয় ‘কোই মিল গ্যায়া’ সিনেমা বানান। এবং সিনেমাটি সুপার ডুপার হিট হয়। এই সিনেমাটির হাত ধরে হৃতিক সমস্ত সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেন। 

810

কিন্তু এর পর আবারও ছন্দপতন ঘটলো। কোই মিল গ্যায়ার পর ২০০৪ এবং ২০০৫ সালের সব সিনেমা ফ্লপ হয়। কিন্তু ২০০৬ সালে কৃশ এবং ধুম২ বক্স-অফিসে ভালো ব্যাবসা করে। 

910

এর পরবর্তী সময়ে ২০১০ সাল পর্যন্ত তাঁর কোন সিনেমাই বাণিজ্যিক সফলতা পায়নি। তবে যোধা আকবর এবং গুজারিস ছবিতে তাঁর অভিনয় চারিদিকে প্রশংসিত হয়। এই ছবি দুটির মাধ্যমে হৃতিক তাঁর অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দেন। 

1010

এর পর ২০১২ সালে মুক্তি পায় অগ্নিপথ। এই সিনেমাটিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন জয় করে নেয়। এর পাশাপাশি সিনেমাটি বাণিজ্যিক ভাবেও সফল হয়। এর পর আর তাকে পিছনে ঘুরে তাকাতে হয়নি। এর পর কৃশ৩, ব্যাং ব্যাং, ওয়ার এর মতো সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও সুপার ৩০ এবং মনেঞ্জদারো সিনেমাতে হৃতিক আবারও প্রমাণ করে দেন তিনি শুধু সুপারস্টার নন , এর পাশাপাশি তিনি একজন ভালো অভিনেতাও বটে।

click me!

Recommended Stories