রিয়া সহ ৬ জনের জামিনের আবেদন খারিজ করল সেশন কোর্ট, আপাতত ঠাঁই 'বাইকুল্লা' জেলেই

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুকান্ডে তৃতীয়দিনের এনসিবি জেরায়  গ্রেফতার হয়েছেন  রিয়া চক্রবর্তী।  বাইকুল্লা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রিয়াকে। ৫০ জন দাগী আসামীদের মধ্যেই রাখা হয়েছে রিয়াকে।  মাদককান্ডে গ্রেফতার হয়ে রিয়া ও তার ভাই শৌভিক সহ আরও ৬ জনের জামিনের আবেদন খারিজ করল মুম্বই সেশন কোর্ট। রিয়ার আপাতত নয়া ঠিকানা এই মহিলা জেলই। 

এনসিবি-র জেরায় গ্রেফতার হয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। মঙ্গলবার সারারাত এনসিবির কোয়াটারেই থাকতে হয়েছে রিয়াকে।  বাইকুল্লা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রিয়াকে।

 আগামী  ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতেই রাখা হবে অভিনেত্রীকে।ইতিমধ্যেই রিয়ার জামিনের আর্জিও খারিজ করা হয়েছে।  দাগী আসামীদের সঙ্গেই রাখা হয়েছে রিয়াকে।

গতকালই এডিপিএস আদালকে শুনানি হয়েছিল রিয়া ও বাকি ছয় জনের জামিনের আর্দিক। কিন্তু রায় দেয়নি আদালত। আজ সেশন কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে রিয়া সহ বাকি ৬ জনের জামিনের আর্জি খারিজ করা হয়েছে।

তবে কী কারণে রিয়ার জামিনের আবেদন খারিজ করা হল তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি আদালত। সুতরাং এই রায়ের পর রিয়ার ঠিকানা এই বাইকুল্লা মহিলা জেল।

আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিয়া ও তার ৬ সঙ্গীকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে আপাতত জেলেই থাকতে হবে রিয়াকে।

রিয়ার আইনজীবীকে এরপর জামিনের আর্জি জানাতে গেলে তাকে বম্বে হাইকোর্টে যেতে হবে। আগামীকাল শনি ও রবিবার কোর্ট বন্ধ। সুতরাং সোমবারের আগে তার জামিনের আবেদনের কোনও রাস্তাই খোলা নেই।

এনডিপিএস আইনের আওতায় ৮, ২০, ২৭,২৮, ২৯ নম্বর ধারায় রিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হলেই ১০ বছরের সাজা মিলবে রিয়ার।

মুম্বই পুলিশ,বিহার পুলিশ, ইডি, সিবিআই-এর পর সুশান্তের মৃত্যু মামলা খতিয়ে দেখতে তদন্তভার নিয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। 

শুধু ড্রাগ সেবন নয়, ড্রাগ পাচার এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ড্রাগ আদান-প্রদানেরও অভিযোগ আনা হয়েছে রিয়া ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। একাধিকবার এনসিবি-র জেরার মুখে পড়েই  মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী রিয়া।