১৯৯৩-র মুম্বই হামলার 'জঙ্গি' ও 'দেশদ্রোহি' সঞ্জয়, বায়োপিকে হয়ে উঠলেন হিরো, ধিক্কার চারিদিকে

বাবা সুনীল দত্ত এবং মা নার্গিস দত্তের ছেলের হওয়ার সুযোগে বলিউডের সমস্ত কিছু কাছ থেকে দেখেছেন সঞ্জয় দত্ত। তারকার ছেলে হয়েও কখনও নেপোটিজমের তকমা লাগেনি তাঁর উপর। বরং স্পয়েল্ট ব্র্যাট, ড্রাগি, ওমানাইজার এই ধরণের তকমাই লাগে তাঁর গায়ে। সেই নিয়ে একটা গোটা বায়োপিকই বানিয়ে ফেলেন রাজকুমার হিরানি। সঞ্জু। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন রণবীর কাপুর। যাঁদের মধ্যে কেবল যে মুখের মিল রয়েছে তাই নয়, মিল রয়েছে খানিক চরিত্রেও। সঞ্জয় দত্তের ৬১ তম জন্মদিনে বারে বারে এই ছবির সমালোচনা উঠে আসে প্রত্যেক সময়।

Adrika Das | Published : Jul 29, 2020 12:00 PM IST / Updated: Jul 29 2020, 05:48 PM IST
111
১৯৯৩-র মুম্বই হামলার 'জঙ্গি' ও 'দেশদ্রোহি' সঞ্জয়, বায়োপিকে হয়ে উঠলেন হিরো, ধিক্কার চারিদিকে

ছবিতে রাজকুমার হিরানির মত এক তাবড় পরিচলক কেন জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকা সঞ্জয় দত্তকে হিরো হিসাবে দেখিয়েছেন। এই প্রশ্নে জর্জরিত হয়েছিলেন হিরানি।

211

তাঁর কথায়, তিনি সঞ্জয়ের আসল চরিত্রটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন সিনেপর্দায়। তিনি যে নির্দোষ তাই প্রমাণ করার প্রচেষ্টায় ছিলেন হিরানি। এতেই বেজায় চটেছিল দর্শক। 

311

সিনেপ্রেমীদের কথা, সঞ্জয় দত্ত যদি নির্দোষই হয়ে থাকে তাহলে কি ভারতের আইন ব্যবস্থা ভুল ছিস। আদালত কি তাঁকে এমনি এমনি এত বছরের সাজা শুনিয়েছিল। 

411

এর উত্তর অবশ্যই দেননি হিরানি। অন্যদিকে সঞ্জয় দত্তের ক্যাসানোভা চরিত্রটি নিয়েও কটাক্ষ করা হয় বলিউডের পরিচালনা প্রথার। দর্শকের কথায়, যে কোনও তারকা দোষীর চরিত্রকেই ওয়াইওয়াশ অর্থাৎ সাফ করে দেয় বলিউড। 

511

এমনই তথাকথিত প্রথা নাকি চলে এসেছে যুগ যুগ ধরে। সঞ্জয় দত্ত জীবনে প্রায় ২০০-৩০০ নারীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন, এই কথাটি গর্বের সহিত দেখানো হয়েছে। 

611

এই সংলাপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় নারীবাদীরা। তাদের দাবি, আজ যদি সঞ্জুর জায়গায় কোনও নায়িকার বায়োপিক হত, সেখানে কি এই সংলাপ থাকত। 

711

কিছু সংখ্যক দর্শক যেভাবে এই সংলাপটি শুনে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন, কোনও নায়িকা এমনটা বললে কি সমান মজার ভাগিদার হতেন। 
 

811

সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে ১৯৯৩ সালের মুম্বই হামলার নাম জড়ায়। তাঁর বাড়িতে একটি একে ফিফটি সিক্স থাকার অভিযোগ ওঠে। সেই সময় মরিশিয়াসে ছবির শ্যুটিং করছিলেন সঞ্জয়। 

911

ফেরা মাত্রই এয়ারপোর্ট থেকেই গের্ফতার করা হয়েছিল তাঁকে। তাঁকে 'জঙ্গি' হিসাবে সম্বোধন করতে এক ফোঁটাও সময় লাগেনি সংবাদমাধ্যম এবং দেশবাসীর। 

1011

যার জেরে নিজের বায়োপিক সঞ্জুর চিত্রনাট্যের মাধ্যে সে সময়ের প্রতিটি সংবাদমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ করা হয়েছে। ছবির শেষে একটি গানও ছিল যেখানে রণবীর এবং সঞ্জয় একসঙ্গে স্ক্রিন স্পেস শেয়ার করেন। 

1111

সেই গানে সংবাদমাধ্যমকে তাক করেই লিরিকসের মাধ্যমে একে একে ক্ষোভ উগরেছিলেন সঞ্জয়। ছবিটি বক্স অফিসে ভাল ব্যবসা করতেই খানিক ঘুরে যায় রণবীরের কেরিয়ার। তবে ছবিটি নিয়ে আজও জল্পনা তুঙ্গে। বলিউডের প্রতি রোষে ফেটে পড়েছিল দর্শকমহল। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, 'জঙ্গি' সঞ্জয় দত্তকে হিরো হিসাবে দেখাতে একমাত্র বলিউডই পারে।   

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos