ঐশ্বর্যের চরিত্র নিয়ে কুরুচিকর মিম শেয়ার বিবেকের, মহিলা কমিশনের আইনি পদক্ষেপে ক্ষমা চান বিবেক

ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, বিবেক ওবেরয়ের প্রাক্তন প্রেমিকা। এ বিষয় ঐশ্বর্য কোনও মন্তব্য না করলেও বিবেক জনসমক্ষে নানা কথাই বলে বেরিয়েছিলেন। সলমন খানের কারণে তাঁদের সম্পর্ক বেশিদিন টেকেওনি। 'কিঁউ হো গয়া না' ছবির সেটে তাঁদের প্রেমালাপ শুরু হয়। যদিও বিষটিকে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন ঐশ্বর্য-বিবেক সেই সময়। তবে তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনের খুঁটিনাটি কখনই বেশিদিন চাপা থাকে না। সম্পর্ক শেষ হয়েছে বহু বছর হয়ে গিয়েছে। বিবেক ব্রেক আপের পর ঐশ্বর্যকে প্লাস্টিক বলেও দাবি করেন এক অনুষ্ঠানে। 

Adrika Das | Published : Jul 8, 2020 8:53 AM IST
111
ঐশ্বর্যের চরিত্র নিয়ে কুরুচিকর মিম শেয়ার বিবেকের, মহিলা কমিশনের আইনি পদক্ষেপে ক্ষমা চান বিবেক

প্রাক্তন প্রেমিকাকে নিয়ে এমন নানা মন্তব্য করতে করতেই ২০১৯ সালে নিজের কুরুচিকর মানসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন বিবেক। ঐশ্বর্যের পাশাপাশি টেনে এনেছিলেন অভিষেক বচ্চন, সলমন খান এবং নিজেকেও। 

211

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন ওপিনিয়ন পোল এক্সিট পোল এবং তার ফলপ্রকাশ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মিম ভাইরাল হয় পড়ে। 

311

মিমটির উপরে সলমন এবং ঐশ্বর্যের ছবি দিয়ে লেখা ওপিনিয়ন পোল। ছবিটি ২০০২ সালের, যে সময় ঐশ্বর্য এবং সলমনের প্রেমালাপের খবরে শিরোনামে ভরে যায়।

411

মিমটির মাঝে বিবেক এবং ঐশ্বর্যের ছবি। ছবিটি বিবেক-ঐশ্বর্যের সম্পর্ক থাকাকালীন তোলা। এবং শেষ ছবিটি অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্যের সঙ্গে আরাধ্যার ছবি। 

511

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ওপিনিয়ন পোল, এক্সিট পোল এবং ফলপ্রকাশ সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। ঐশ্বর্যের ব্যক্তিগত সম্পর্কের সঙ্গে পোলের ফলপ্রকাশের মিল বের করে নিয়েই তৈরি করা হয় এই মিম। 

611

যা বিবেক ওবেরয় নিজের ট্যুইটারে শেয়ার করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে জল্পনা ওঠে তুঙ্গে। তাঁকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে দাবি করেন ট্যুইটারবাসী। 

711

এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফ থেকে তাঁর কাছে যায় আইনি নোটিশও। এমন কুরুচিকর মিম তিনি শেয়ার করলেন কীকরে। তার ব্যাখাও চেয়ে বসে জাতীয় মহিলা কমিশন। 

811

অন্যদিকে বিবেক নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। ক্ষমা তিনি চাইবেন না। কারণ তাঁর মতে, তিনি কোনও ভুল করেননি। একটি মিম তাঁর চোখে পড়েছে। অভিনেতার মনে হয়েছে বেশ মজার মিমের প্রসঙ্গটি তাই তিনি শেয়ার করেছেন। 

911

বিবেক যদিও নেটিজেনের রোষানলে পড়ে ট্যুইটটি ডিলিট করে দেন। পরে ক্ষমা চাইতেও বাধ্য হন। তিনি ট্যুইটারে মিমটির বিষয় ক্ষমা চেয়ে নেন। 

1011

তিনি লেখেন, "মাঝে মাঝে যা আমাদের চোখের সামনে থাকে তা কারও কাছে মজার, হাস্যকর হলেও অন্যের কাছে নাও হতে পারে। আমি দশ বছর নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে লড়ে গিয়েছি, কখনও কোনও নারীর অসম্মানের কথা ভআবতেও পারি না।"

1111

নিজের বক্তব্য রেখে সকল মহিলাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। তবে বিবেকের এই মিম জুড়ে তাঁকে নানা কথা শুনতে কেবল এই নয়, ঐশ্বর্যের ভক্তরা তাঁকে ট্যুইটারে লেখেন, "আপনাকে ঐশ্বর্য ছেড়ে একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর সেটাই আপনি নিজের মানসিকতা দিয়ে প্রমাণ করলেন।" 

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos