অতিমারীর বিশ্বে অবশেষে এল সুখবর, করোনা ঠেকাতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পুরোপুরি নিরাপদ

বিশ্বের প্রায় দেড় কোটি  মানুষ করোনার মত মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত।মৃতের সংখ্যা  ৬ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এই অবস্থায় ভ্যাকসিন ছাড়া এই অতিমারী পরিস্থিতি কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না সেই বিষয়ে মোটামুটি নিশ্চিত বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা। রাতদিন এক করে তাই বিশ্বের নানা প্রান্তে চলছে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা। আর মারণ ব্যাধিকে রুখতে ভ্যাকসিন নিয়ে এবার একেবারে সুখবর শোনাল অক্সফোর্ড। তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে বলেই দাবি করছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ।
 

Asianet News Bangla | Published : Jul 20, 2020 3:34 PM IST / Updated: Jul 20 2020, 09:43 PM IST
113
অতিমারীর বিশ্বে অবশেষে এল সুখবর, করোনা ঠেকাতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পুরোপুরি নিরাপদ

সোমবার অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি ভ্যাকসিনটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অগ্রিম ফলাফল প্রকাশ করেছে বিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেট। তাতে অক্সফোর্ডের  গবেষকেরা বলছেন, মানবদেহে প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

213

জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ৭৭ জন মানুষের ওপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়। ইনজেকশনের মাধ্যমে ভ্যাকসিনটি মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়। 

313

প্রয়োগের পর দেখা গেছে, ভ্যাকসিনটি  করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে উপযুক্ত করে তুলতে সহায়তা করে। একই সঙ্গে শরীরে তৈরি করে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি ও শ্বেত রক্তকণিকা, যা নতুন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম।

413

বলা হচ্ছে, এই ভ্যাকসিনটি নতুন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে কার্যকর করে তুলতে সহায়তা করে।

513

যদিও এই ফলাফল একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, এবং এখুনই এটিকে প্রমাণিত সাফল্য বলা যাবে না। তবে এই পরীক্ষার ফল করোনার যুদ্ধে আশার আলো বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। 

613

তবে পুরোপুরি নিরাপদ ঘোষণা করার জন্য আরও পরীক্ষার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। সেজন্য  আরও বড় ট্রায়ালের অপেক্ষায় রয়েছেন গবেষকেরা। 

713

সেই  ট্রায়ালে  প্রমাণিত হলেই ভ্যাকসিনের অনেকটা কাছে পৌঁছনো যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।  বলা হচ্ছে, এই ভ্যাকসিনটি নতুন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে কার্যকর করে তুলতে সহায়তা করে।

813

জানা গিয়েছে এই ভ্যাকসিনটির নাম ChAdOx1 nCoV-19। শিম্পাঞ্জির শরীরে সাধারণ সর্দি-জ্বর-ঠান্ডা লাগার ভাইরাস থেকেই এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে।

913

এটিকে প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিরাট আকারে পরিবর্তন করা হয়েছে। এটি মানবদেহে কোনও সংক্রমণ ছড়াবে না। এবং এটি দেখতে অনেকটা করোনাভাইরাসের মতোই। এটি মানবশরীরে করোনাভাইরাসের প্রোটিন স্পাইকের মতো করেই যাতে কাজ করে সে কারণে এটিকে কোভিড ১৯-এর মতো রূপ  দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ, এটি সহজেই শরীরে রোগ প্রতিরোধ তৈরি করতে সাহায্য করবে।

1013

তবে এই ভ্যাকসিনটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।  ভ্যাকসিন শরীরে ঢোকার পর ৭০ শতাংশ মানুষের প্রবল জ্বর ও মাথাব্যথা দেখা দিয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের দাবি, এটি সহজেই প্যারাসিটামল দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। 

1113


ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যে এই  ভ্যাকসিনের ১০০ মিলিয়ন ডোজ অর্ডার করেছে

1213

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু' জানিয়েছে, অন্তত ১৪০টি ভ্যাকসিন  আবিষ্কারের প্রকল্প চলছে সারা বিশ্বে। তার মধ্যে অন্তত ১৩টি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রথম সারিতে রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

1313

পরীক্ষা সফল হলে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপ আশা করছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ তারা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ছেড়ে দিতে পারবে। ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা প্রমাণিত হলেই এটি হবে সবচেয়ে দ্রুত তৈরি করা ভ্যাকসিন, যা পরীক্ষাগার থেকে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পাবে।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos