গত বছরই সাত পাকে বাঁধা পরে এই জুটি। তারপর থেকেই নানান সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের দেওয়া ছবি দেখে যেকোনও মানুষ ধারনা করতে পারবে তাদের সম্পর্কের গ্রাফটা ঠিক কীরকম।
বিয়ের পরই তারা হানিমুনের জন্য পারি দেয় আমেরিকায়। লন্ডন, দুবাই, লাস ভেগাস একের পর এক জায়গায় তারা সময় সুযোগ বুঝেই বেড়িয়ে পড়তেন ভ্রমণে, কারণ দুজনের কাছেই ভ্রমণটা খুব প্রিয় বিষয়।
রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী-র সম্পর্কটা অনেকবেশি বন্ধুত্বপূর্ণ। অবসরে একে অন্যের সঙ্গে সময় কাটাতেই বেশি পচ্ছন্দ করেন। খুঁনসুটি ও ছোটখাটো আবেগ অনুভূতি নিয়েই প্রথম বছরটা ভালোই কাটল এই দম্পতির।
নতুন জীবন উপভোগ করতে দুজনেই বিয়ের পর বেশ কিছুটা সময় হাতে নিয়েছিলেন। এই এক বছর কর্মজীবন থেকে অনেকটাই সরে থেকেছেন দুজনে। নিজেদের সময় দিয়ে গুচ্ছিয়ে নিয়েছেন বৈবাহিক জীবন।
দুর্গাপুজো থেকে সরস্বতী পুজো, প্রতিটি আচার অনুষ্ঠানে একই সঙ্গে অংশগ্রহণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্টও করেছেন দুজনে।
বিবাহবার্ষিকীতে বিশাল কোনও পরিকল্পনা নয়, নিজেদের পরিবারের মধ্যেই সেলিব্রেশনে ব্যাস্ত দুই তারকা। সকাল থেকে শুভচ্ছা বার্তাও পেয়েছে অনেক। তবে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেই বেশি পচ্ছন্দ করেন শুভশ্রী। বিয়ের পর তাকে নিজের মেয়ের মতন কাছে টেনে নিয়েছে রাজ চক্রবর্তীর পরিবার, একথা অধিকাংশ সময়ই জানিয়েছেন শুভশ্রী।
নিজেদের জীবনের সম্পর্কের সমীকরমটা এই জুটির কাছে ভীষন সহজ একটা ব্যাপার। নিজেদের প্রতি বিশ্বাস, ভরসাটাই এই জুটির মূল মন্ত্র। পরিবার, কাজ নিয়ে বর্তমানে দুই তারকার সময় ভালোই কাটছে। তবে মাঝে মধ্যে সময় নিয়ে ছোটখাটো চাহিদাগুলো মেটা ভুলছেন না কেউই। সেই ভ্রমণই হোক বা ডিনার প্ল্যান।