আর শিথিলতা নয়, লকডাউন সফল করতে এবার কোমর বেঁধে রাস্তায় নামল পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিনভর চলল ধরপাকড়। ফলও মিলল হাতেনাতেই। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখার সাহস দেখালেন না কেউ। শুনসান রাস্তার ছবি ধরা পড়ল হাওড়ায়।
আশঙ্কা ছিলই, করোনার 'গোষ্ঠী সংক্রমণ' শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। পরিস্থিতি ভয়াবহ, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্য়া। সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন জেলায় ফের লকডাউনের জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
25
চলতি সপ্তাহ থেকে রাজ্যের সর্বত্রই সপ্তাহে দু'দিন পুরোদস্তুর লকডাউন জারি করার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার ছিল প্রথমদিন। ফের লকডাউন কার্যকর করা হবে শনিবার।
35
এই লকডাউনকে কেন্দ্র করে কার্যত অঘোষিত বনধের চেহারা নেয় হাওড়া। দোকানপাঠ খোলা তো দূর অস্থ, শুনসান রাস্তায় পুলিশ ছাড়া আর কোনও মানুষের দেখা মেলেনি।
45
কড়া হাতে লকডাউন কার্যকর করেছে পুলিশ। অ্যাম্বুল্যান্স, ওষুধের দোকান, সংবাদমাধ্যম, হোম ডেলিভারির খাবার ও পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া কাউকে রেয়াত করা হয়নি।
55
হাওড়া জেলায় করোনা আক্রান্ত প্রাণ হারিয়েছেন দেড়শোরও বেশি মানুষ। জেলায় ৮০টি এলাকাকে কন্টেনমেন্টন জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। তাতেই কি হুঁশ ফিরল আমজনতার? তেমনটাই মনে করছেন অনেকেই।