নেমে এল মহাবিপর্যয়, অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ায় একের পর এক পাইলট তিমির মৃত্যু
পাইলট তিমির মৃত্যুর ঘটনায় সরগরম অস্ট্রেলিয়া। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ম্যাককুয়েরি হারবারে প্রায় ৪৬০টি পাইলট তিমি আটকে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে ৩৮০টি তিমি মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও ৭০টি তিমিকে বাঁচান গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
২০২০ সালে একের পর এক বিপর্যয় ঘটে যাচ্ছে। করোনা মহামারিতে দিশেহারা গোটা বিশ্ব। এর মাঝেই। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া দ্বীপের বালির চরে আটকে পড়ে অন্তত ৩৮০টি তিমির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলে ম্যাক্যুয়ার হারবার এলাকায় আটকে পড়ে ৪৬০টি তিমির একটি দল। বুধবার প্রশাসন জানায়, তাদের মধ্যে ৩৮০টি মারা গিয়েছে।
সমুদ্র উপকূল থেকে কিছুটা দূরে একটি বালির চড়ায় আটকে গিয়েছিল লম্বা পাখনাওয়ালা পাইলট তিমিদের দলটি। এই জাতীয় তিমির দলে একজন পথনির্দেশকের ভূমিকা পালন করে। তাকে অনুসরণ করে বাকিরা। তাই এদের পাইলট তিমি বলা হয়।
মাত্র কয়েক ডজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানীরা। এভাবে গণহারে বালির চরে আটকে তিমির মৃত্যু আগে কখনও হয়নি।
তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূল বর্তমানে ধ্বংসের মুখে। সেখানে তেমন জনবসতিও নেই। তিমির মৃত্যুর ঘটনার পর সেখানে যানচলাচলও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এর আগে ২০০৯ সালে শেষবার এত সংখ্যক তিমিকে আটকে পড়তে দেখা গিয়েছিল তাসমানিয়ার বালির চরে। সেবার প্রায় ২০০ তিমি আটকেছিল।
২০১৮ সালে ১০০টিরও বেশি পাইলট তিমি মারা গিয়েছিল। সামুদ্রিক ডলফিন প্রজাতির এই পাইলট তিমিরা সাধারণত লম্বায় সাত মিটার। তবে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে এই ঘটনা স্বাভাবিক বলেই জানিয়েছে স্থানীয় পরিবেশ দফতর।