রাশিয়া
ঠান্ডা যুদ্ধের অবসানে রুশ সেনাবাহিনী কেমন মিইয়ে গিয়েছিল। আর্থিক সংস্থান, রাজনৈতিক সমর্থন, জনবল - অনেকাংশেই হারিয়ে ফেলেছিল রুশ বাহিনী। সামরিক-শিল্প যা কিনা ছিল রেড আর্মির লাইফলাইন, তাও ধীরে ধীরে একেবারে ভেঙে পড়ে। বাহিনীর হাতে রয়ে গিয়েছিল পুরানো এবং দুর্বল সব সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম। নৈতিকভাবেই পিছিয়ে পড়েছিল রাশিয়ার সেনাবাহিনী। সবই যে পাল্টে গিয়েছে, তা নয়, তবে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রুশ বাহিনীতে ফের বড় বিনিয়োগের অনুমতি মিলেছে। চেচনিয়া, জর্জিয়া, ক্রিমিয়ার যুদ্ধে জয় এই পরিবর্তনের ফল দেখিয়ে দিয়েছে। আশপাশের দেগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম রাখতে ফের মস্কোর ট্রাম্পকার্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে রুশ সেনাবাহিনী। তবে তাদের এই কৃতিত্ব ভাগ করে নিয়ে হবে বায়ু ও নৌসেনার সঙ্গে। ২০৩০ সালেও রুশ সেনাবাহিনী বিশ্বের অন্যতম শক্তিশলী বাহিনী হিসাবে গন্য হবে ঠিকই, তবে তাদের কিছু গুরুতর সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। সোভিয়েত সামরিক-শিল্পের সম্পূর্ণ মৃত্যুর পর প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে মস্কোকে। জনবলও সমস্যা হতে পারে। কারণ সেনাবাহিনী এখনও স্বেচ্ছাসেবকদের উপর নির্ভরশীল। তবে তাদের হিসাবের বাইরে রাখা একেবারেই যাবে না।