'এসো হে বৈশাখ, এসো হে'- বাংলা নববর্ষ-এ মাতল কলকাতার কুমোরপাড়া, কিছু ছবি
বাংলার নববর্ষে কুমোরটুলি সাজল নতুন মোড়কে। দু'দিনব্যাপী কার্নিভালে মেতে উঠল শহরবাসী। বিশ্ব-কলা দিবস উপলক্ষ্যে এই প্রথম কুমোরপাড়া আর্টকলেজের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পালন করল এই কার্নিভাল।
Jayita Chandra | Published : Apr 28, 2019 6:16 AM IST / Updated: Apr 29 2019, 08:51 PM IST
কুমোরটুলি মানেই কলকাতা ও বাঙালির এক সাংস্কৃতিক সিগনেচার-এর কথা তুলে ধরে। মাটির তাল-কে নানা মূর্তির অবয়বে রূপ দেওয়ার জন্য যে কুমোরটুলির এককালে জন্ম হয়েছিল, আজ তার বৈচিত্রে, রঙের সমাহার ও সাংস্কৃতিক ভাবনার এক বদল ঘটেছে। তাই যেন তুলে ধরল এই কার্নিভাল। বলতে গেলে এক নতুন রূপেই বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে ধরা দিল বাঙালির সাধের কুমোরটুলি। তৈরি হল রাঙা মাটির পাঁচালী। যেখানে দেখা মিলল বিভিন্ন মুর্তি, অঙ্কণ গাত্র-এর। পালা করে রঙিন হল এলাকার পথ-ঘাট।
মোট ৩০ জন মৃৎশিল্পী অংশগ্রহণ করেন এই কার্নিভাল-এ। যার মধ্যে দু'জন মহিলা শিল্পী। একটি বেসরকারি সংস্থা দ্বারা প্রযোজিত এই কার্নিভাল-এর মূল ভাবনায় ছিলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। এই কারুকার্য তৈরি করতে অংশ নিয়েছিলেন আর্ট কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও।
ভাবনা বাস্তবায়ণের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট থিম-মেকার সুশান্ত পাল ও পার্থ দাশগুপ্ত। সব্যসাচী চক্রবর্তী জানান, মাত্র দুই সপ্তাহের প্রস্তুতিতে সাজিয়ে তোলা হয়েছে কুমোরটুলি। সকল মৃৎশিল্পীরা বিষয়টি আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেছিলেন এবং উৎসাহের সঙ্গে তা শেষ করেন।
সব্যসাচী চক্রবর্তী আরও বলেন, শহরের শিল্পপ্রেমী মানুষ সানন্দে উৎসবটিকে গ্রহণ করেছেন এবং বিপুল সাড়া দিয়েছেন। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই গড়ে তোলা হয়েছে কুমোরটুলি আর্ট ফোরাম। যেখানে যোগদান করেছেন মৃৎশিল্পী থেকে শুরু করে কলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরাও।
এইবারের উৎসবের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে আগামী বছর একে আরও বড় করে উপস্থাপন করার কথা ভাবছেন আয়োজকরা। এর জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা করা হবে আগে থেকে। তারা আশী করছেন, উপস্থাপনার নৈপুণ্যে এই উৎসবের মেজাজকে ধরে রাখতে পারবেন। উৎসবের সময়সীমা বাড়ানোর কথাও ভাবা হচ্ছে।