সরগরম কাশ্মীর বলিউড চিত্রনাট্যে কতটা জায়গা করে নিয়েছে, দেখুন ফটোগ্যালারি
কাশ্মীরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে বলিউডে ছবি তৈরি হয়েছে বহুবার। কখনও সেখানে জায়গা করে নিয়েছে স্থানীয় মানুষের সমস্যা, কখনও বা প্রাধান্য পেয়েছে জঙ্গি ও সেনাদের বিবাদ। সম্পর্ক, সমাজ জীবন, পরিবার, সবই যেন এক অনিশ্চয়তায় মোড়া, সৌন্দর্যের আড়ালে থাকা এক অন্য কাশ্মীরের গল্প মাঝে মধ্যে উঠে এসেছে বিভিন্ন পরিচালকের হাত ধরে।
রোজাঃ মণি রত্নম পরিচালিত এই ছবি নব্বইয়ের দশকের সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জণ করেছিল। সেই ছবিতেই কাশ্মীর এক বড়সড় অংশ জুড়ে জায়গা করে নিয়েছিলে চিত্রনাট্যে। যেখানে দেখানো হয় আধা-সামরিক বাহিনী ও আততায়ীদের মধ্যে লড়াইয়ে গ্রেফতার হয় ওয়াসিম খান নামক এক জঙ্গি, যার বিপরীতে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় রোজার স্বামীকে। নবদম্পতি বিয়ের পর বেড়াতে আসে কাশ্মীরে। সেখান থেকেই শুরু গল্প। ছবিতে কাশ্মীরে পর্যটক ও স্বাধারণ মানুষের মাঝে মধ্যেই যে অনিশ্চয়তার সন্মুখীন হতে হয় তার ছবিই তুলে ধরা হয়।
নো ফাদার ইন কাশ্মীরঃ নো ফাদার ইন কাশ্মীর ছবিটি মুক্তি পেয়েছে চলতি বছরেই। অস্ভিন কাপুর পরিচালিত এই ছবিতে মুখ্য হয়ে উঠেছিল কাশ্মীরের অন্য এক চিত্র। যেখানে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার সমীকরণটা অনেকটা ভিন্ন। রাতারাতি নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মানুষকে উদ্ধার করার জন্য সাহায্যের হাত মেলে কম। নয় জঙ্গি, নয় মিলিটারি, পা বাড়ালেই আতঙ্কের ছবিই তুলে ধরা হয় এই সিনেমায়। যেখানে একটি মেয়ে তার নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বাবার খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারে, তাঁর বাবা ছিলই না নিখোঁজের তালিকায়।
ফানাঃ ২০০৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবিটি। যেখানে মুখ্য ভুমিকায় অভিনয় করেছিলেন কাজল ও আমির খান। এক সুন্দর প্রেমের গল্পের পেছনে লুকিয়ে থাকে এক ঙয়াবহ সত্যি। কাশ্মীরের মেয়ে বাইরে ঘুরতে এসে প্রেমে পড়ে এক গাইডের। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায় যে তিনি একজন দেশদ্রোহী, ফলে তাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন জোয়া।
হায়দারঃ বিশাল ভরদ্বাজ ও বশরত পীরের লেখা চিত্রনাট্যে মূল জায়গা করে নিয়েছিলন কাশ্মীর। যেখানে ১৯৯৫ সালের কাশ্মীর সংঘর্ষ ও গণ অন্তর্ধানের ঘটনাই প্রাধান্য পেয়েছে। ছবিতে মুখ্য ভুমিকায় অভিনয় করেছিলেন শাহিদ কাপুর। ছবিটি পাঁচটি জাতীয় পুরষ্কারও লাভ করেছিল।
ডিল সেঃ দিল সে শাহরুখ-মনীষা অভিনীত ছবি। এই ছবিতে কাশ্মীরের অশান্ত পরিস্থিতির কথা তুলে ধরা হয়। তারই মাঝে কীভাবে বদলাতে থাকে জীবনের গল্প সেই দিকটিই তুলে ধরা হয় ছবির চিত্রনাট্যে।
হামিদঃ একটি ছোট শিশু। পরিস্থিতি কিছু বোঝার আগেই সে তার বাবাকে হারায়। পরিবর্তে পায় ভগবানের ফোন নম্বর। তাকেই সময় সময় ফোন করে বাবার খবর নেওয়া এবং খবর দেওয়া। লপ্রয়োজনে সাহায্য চাওয়া। কার কাছে যেত হামিদের ফোন তার কোনও ধারনাই ছিল না এই ছোট শিশুটি। কেবল পা বাড়িয়েছিল এক অজানা পথে।
ইয়াহানঃ গুলির বদলে গুলি, এই আদেশই পয়েছিল এক নতুন জাওয়ান কাশ্মীরে বদলি হওয়ার পর। কিন্তু পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর সমীকরণটা বদলে যায়। কীভাবে কাটে সেখানকার আর্মিদের জীবন, কতটা সতর্ক থাকতে হয় স্থানীয় মানুষদের সেই ছবিই তুলে ধরা হয় এই সিনেমার চিত্রনাট্যে।
মিশন কাশ্মীরঃ কাশ্মীরের পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তখন সাধারণ মানুষদেরও বেজায় সমস্যার সন্মুখীন হতে হয়। সেই দিকেই আলোকপাত করা হয় মিশন কাশ্মীর ছবিতে। এক পুলিশ অফিসার আলতাফ নামক একটি শিশুর বাবা মা-কে হত্যা করার পর আলতাফকে মানুষ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বড় হওয়ার পর যখন আলতাফ সবটা জানতে পারে, তখনই প্রতিশোধের কথাই তাঁর মাথায় আসে। ছবির গল্প সাজানো সেই মোড়কেই।