নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি সম্পর্কে অনেকেই ধারনা পোষণ করেন তার পরিবার অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বচ্ছল নয়। কিন্তু এই ধারনা ভূল। তিনি জমিদার বাড়ির ছেলে এবং তাদের প্রচুর জমি আছে যেখানে চাযাবাদ হয়।
তিনি বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন এবং কেমিস্টে এক বছরের জন্য কাজও করেছিলেন। তখন অভিনয় নিয়ে কোনও মাথা ব্যথাই ছিল না তার।
এরপর অভিনয় জগতে আসার সময় তিনি যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, নিজে উপার্যন করার জন্য ওয়াচম্যানের চাকরি করতে শুরু করেন।
রণবীর সিং যখন ব্যন্ড বাজা বারাত-এ ডেবিউ করছিলেন তখন নওয়াজের ওপর দ্বায়িত্ব পরেছিল তাকে ট্রেন করার, অবিশ্বাস্যকর হলেও এটাই সত্যি।
সারফারোস ছবিতে মাত্র ৪০ সেকেন্ড-এর একটি চরিত্র পেয়েছিলেন তিনি। সেটাই যত্ন করে ফুঁটিয়ে তোলেন ছবিতে। তার বন্ধুর এই চরিত্রটি করার কথা ছিল। তিনি না আসায় সুযোগ পান অভিনেতা।
দীলিপ কুমারের অভিনয় নওয়াজকে অনুপ্রাণিত করে। যদি কোনওদিন সুযোগ পান তবে মুঘল-এ-আজম ছবিতে দীলিপ ঘোষের চরিত্র অভিনয় করার স্বপ্ন দেখেন নওয়াজ।
অভিনেতার জীবনে তার মা বিশাল ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি যখন অক্লান্ত পরিশ্রমের পরও সাফল্যের মুখ দেখতে পাচ্ছিলেন না, তখন মাকে চিঠি লিখতেন, আর ক্রমাগত তিনি ভরসা দিয়ে বলতেন বারো বছরে তো কত কী পাল্টে যায়, এখনও অনেক সময় আছে। আর উনি পুনরায় ভরসা পেতেন।