'এখানেই মা সচিন-রাহুলদের বসিয়ে খাওয়াতেন', রইল সৌরভের বাড়ির অন্দরমহলের ইতিকথা

ক্রিকেট ব্যাট হাতে তোলার আগে থেকে এই বাড়িতে থাকেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বাড়ি সেই জায়গা যেখানে প্রত্যেকেই আনন্দ, শান্তি খুঁজে পান। তাঁর কাছেও এটি স্বস্তির নিরাপদ আশ্রয়।সৌরভের বাড়ি, সৌরভের হৃদয়ের সঙ্গে একাত্ম। রয়েছে শৈশবের স্মৃতি, রয়েছে পরিবারের ভালোবাসা, রয়েছে প্রথম রঞ্জি ট্রফি, প্রথম উপহার পাওয়া ওয়াই। মা-বাবার স্মৃতি, আর ছোট্ট সানা, এই দিয়েই সাজানো সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেহালারা বীরেন রায় রোডের বাড়ি। 

 

Jayita Chandra | Published : Apr 4, 2020 4:29 AM IST / Updated: Apr 04 2020, 10:19 AM IST
110
'এখানেই মা সচিন-রাহুলদের বসিয়ে খাওয়াতেন', রইল সৌরভের বাড়ির অন্দরমহলের ইতিকথা
বেহালার বীরেন রায় রোডের বাড়ি যে এক স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ। পরতে-পরতে জড়িয়ে থাকা স্মৃতি, পুরোনো কলকাতা, সাবেকিয়ানা আর শৈশবে মাখা সৌরভের অন্দরমহলের কাহিনি। প্রবেশদ্বার থেকে ডাইনিং নিজেই দেখালেন মহারাজা।
210
বাড়ির বাইরের রঙ লাল। বরাবরই এই রঙকে বজায় রেখেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। রীতিমেনেই যেন এই রঙ আজীবন পরিচয় হয়ে থেকে গেল এই ভিলার। সৌরভের মতে একটা বাড়ি তৈরি হয় আসবাবপত্র দিয়ে, আর তাঁর বাড়ি তৈরি, স্নেহ-স্মৃতি দিয়ে।
310
এটা সৌরভের বসার ঘর। ছোট-বড় অনেক যুদ্ধের সাক্ষী এই ঘর, তবে সে যুদ্ধ কেবলই ব্যাটে-বলে। এখানেই বসে মহারাজা খেলা দেখেন। সকলকে নিয়ে ক্রিকেটে মজে থাকার এই একটাই ঠিকানা তাঁর।
410
বাড়ির অন্দরমহলের রঙ সবসময় হালকাই পছন্দ করেন সৌরভ। একই পছন্দ ছিল তাঁর মায়ের। তবে তা ধরে রাখা বেশ কষ্টসাধ্য। ভারতের বুকে দূষণের মাত্রা বেশি। তাই হালকা রঙে সমস্যা। কিন্তু তিনি মনে করেন, এই রঙেই খুঁজে পাওয়া যায় শান্তি, স্বস্তি।
510
এটা সৌরভ গাঙ্গোপাধ্যায়ের আরও একটি সবার ঘর। তিনি বাড়ি সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতেই পছন্দ করেন। তাঁর ঠিক যেমনটা রাখতেন। ব্যাট হাতে তুলে নেওয়ার আগে থেকেই এই বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক তাঁর। দীর্ঘ ৪৪ বছর এখানে রয়েছেন তিনি।
610
বাড়ির মধ্যে এই জায়গাটা তাঁর কাছে খুব কাছের। বাঙালি প্রথা মেনেই তাঁর মা পছন্দ করতেন নিজে হাতে সকলকে খাওয়াতে। এখানেই বসিয়ে মা খাইয়েছিলেন সচিন, রাহুল, হরভজনদের।
710
এটা সৌরভের দিন শুরুর জায়গা। ঘুম থেকে উঠে চায়ে চুমুক। সঙ্গে একটা বিস্কুট। হাতে খবরের কাজ। যা তাঁকে গোটা বিশ্বের খবর দিয়ে থাকে। এখনও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের খবরের কাজ শুরু হয় পেছন পাতা থেকে। কারণ খেলাই তাঁর জীবনের প্রথম পাতায় জড়িয়ে।
810
এই জায়গাটা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাবা নিজে হাতে সাজিয়ে ছিলেন। প্রতিটা পুরষ্কার অতি যত্নের সঙ্গে এখানে রাখা। রঞ্জি ট্রফি থেকে শুরু করে উপহার পাওয়া প্রথম ওয়াই।
910
গোটা বাড়ির মধ্যে এই স্থান সৌরভের স্মৃতির পাতায় মোড়া। তাঁর বাবা তাঁর থেকেও ভালো খেলতেন, এমনটাই মনে করতেন তাঁর মা, সৌরভের ধারনাও তাই। বাবার ছবির দিকে তাকিয়ে সেই স্মৃতি উগরে দিলেন মহারাজা।
1010
বাড়িটা সবথেকে বেশি এই ছোট সদস্যের, সানা। সানাই ভালোবাসায় ভরিয়ে রেখেছে এই বাড়ির প্রতিটা কোণ। সৌরভের মতে পরিবর্তন হয়েছে হাতের গ্লাফসের, ব্যাটের, কিন্তু জয়ের খিদেটা একই থেকে গিয়েছে। আর জয়ের প্রতিটা ধাপে জড়িয়ে এই বাড়ি।
Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos