Published : Aug 25, 2020, 02:51 PM ISTUpdated : Aug 25, 2020, 10:53 PM IST
বিশ্বের প্রায় বেশ কয়েকটি দেশই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা করছে। কিন্তু অধিকাংশ বিজ্ঞানীরাই টিকা তৈরির দিকেই বেশি জোর দিচ্ছে। আর সেই সময় একদমই অন্যপথে হেঁটেছে ওয়াশিংটন স্কুল অব মেডিসিনের মার্কিন গবেষরকরা। তাঁরা দাবি করছেন টিকা নয়। তাঁদের তৈরি প্রতিষেধক নাকের ড্রপ বা স্প্রে হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা। যার প্রথম পর্বের পরীক্ষা রীতিমত সফল হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই ইঁদুরগুলির ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে রীতিমত ভালো ফল পাওয়া গেছে। আগামী দিনে মানুষের ওপর প্রয়োগ করার পরিকল্পনাও তাঁরা গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিন।
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির করতে গিয়ে একদম অন্যপথে হেঁটেছেন ওয়াশিংটন স্কুল অব মেডিসিনের বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা পোলিওর প্রতিশেধকের মতই ভ্যাকসিন তৈরিতে জোর দিয়েছেন। যা ব্যবহার করা যাবে ন্যাজাল ড্রপ বা স্প্রে হিসেবে।
210
গবেষকরা প্রথম থেকেই নাকের মাধ্যেই করোনার প্রতিষেধক শরীরে প্রয়োগ করার কথা ভেবেছিলেন। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে করোনাভাইরাসের আক্রমণের প্রথম স্থানই হল মানুষের নাক।
310
বিশেষজ্ঞদের মতে তাঁদের তৈরি করোনার প্রতিষেধক প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে। তাঁরা দাবি করছেন পরীক্ষা করে দেখা গেছে নাক দিয়ে প্রবেশ করানো প্রতিশেধক শরীর জুড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম। পাশাপাশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা রুখতেও এটি রীতিমত কার্যকর।
410
গবেষকদলটি ইন্টারমাসকুলার ইনজেশকশনের মাধ্যমে ইঁদুরের শরীরে তাঁদের তৈরি প্রতিশেধক প্রয়োগ করেছে। তাতে তাঁরা দেখেছেন শুধুমাত্র নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে পরেছে।
510
ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রতিষেধক প্রয়োগ করার পর দেখা গেছে সেই প্রতিষেধক শুধুমাত্র সংক্রমণের তীব্রতা কমাতে সক্ষম হয়। ভাইরাসটিকে পুরোপুরি শেষ করতে পারে না।
610
বিজ্ঞানীদের দাবি তাঁদের তৈরি ড্রপ বা স্প্রে দিয়ে নাকের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়েছে। আর তাতে রীতিমত সুফল পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন নাক দিয়ে প্রতিশেধক প্রয়োগ করলে শ্বাসনালী নাক আর ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিহত করা যায়।
710
অনলাইন জার্নাল সেলএর প্রতিবেদন অনুযায়ী এই জাতীয় টিকা ব্যবহার করলে শরীরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস প্রতিহত করা যাবে। পাশাপাশই সংক্রমণ ঘটার আশঙ্কাও কম থাকবে।
810
সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় গবেষকরা সার্স কোভ-২এর স্পাইক প্রোটিনকে একটি টিকড ভাইরাসে পরিণত করেছিলেন। যা মূলত অ্যাডেনোভাইরাস। সর্দি কাশি তৈরি করতে পারে।
910
স্পাইক প্রোটিনটি সার্স কোভ-২ ভাইরাসটির হস্তান্তরকারী মানব কোষগুলিকে ধ্বংস করার জন্য ব্যবহার করা হয়। বিজ্ঞানীরা খেয়াল রেখেছেন, স্পাইক প্রোটিনের উপস্থিতি যেন কোনও ভাবেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি না করে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও তৈরি করতে সক্ষম হয়।
1010
গবেষকরা জানিয়েছেন প্রলিন মিউটেশন প্রবর্তন করে নিরপেক্ষ অ্যান্টিবডিগুলিতে দ্রুত সতর্ক করার জন্যই স্পাইক প্রোটিনের আকার পরিবর্তন করা হয়েছে।