Published : Jul 28, 2020, 01:26 PM ISTUpdated : Jul 28, 2020, 01:28 PM IST
বিশ্বে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ৬ সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা প্রাণ দ্বিগুণ হয়েছে দুনিয়ায়। গোটা পৃথিবী এখন তাকিয়ে আছে ভ্যাকিসেনর দিকে। ইতিমধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। এবার ভাল খবর শোনাল দুই মার্কিন সংস্থা মডার্না ও ফাইজার। দুই সংস্থার দাবি, চলতি বছরের শেষেই তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিন নিতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় এখনও ১ নম্বরে রয়েছে আমেরিকা। দিনে দিনে প্রকোপ বেড়েই চলেছে দেশটিতে। মার্কিন মুলুকে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষের।
210
করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন খোদ খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন। ট্রাম্প সরকারে এখনও পর্যন্ত এই প্রথম কোনও উচ্চপদমর্যাদার কোনও ব্য়ক্তি করোনায় আক্রান্ত হলেন।
310
এরমধ্যে আশার খবর শোনাল মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা মডার্না। অ্যাস্ট্রাজেনেকার মত মডার্না ফার্মাও পৌঁছে গেল করোনা ভ্যাকসিন তৈরির শেষ ধাপে।
410
আমেরিকায় ৩০,০০০ স্বেচ্ছাসেবীর ওপর ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু করেছে তারা। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মডার্না শুরু করেছে এই পরীক্ষা।
510
মডার্নার এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে ল্যাবরেটরিরে কৃত্রিমভাবে তৈরি এমআরএনএ দিয়ে। এমআরএনএ হল একটি জেনেটিক কোড, যার নির্দেশে কোষগুলি প্রোটিন তৈরি করে। এই প্রোটিন করোনা জীবাণুর প্রোটিনের মত দেখতে, করোনা জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি করছে তারা।
610
গবেষকরা এই মডার্না উপযোগিতা খতিয়ে দেখতে চান, তাই ৩০,০০০ স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে একাংশের শরীরে এই ভ্যাকিসন প্রয়োগ করা হচ্ছে, অন্যদের শরীরে প্রয়োগ করা হচ্ছে নিষ্ক্রিয় একটি ওষুধ। দুটি ডোজ দেওয়ার পর তাঁরা দেখবেন, কাদের শরীরে কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিল।
710
মার্কিন সংস্থা মর্ডানা গত ১৬ মার্চ বিশ্বের প্রথম সংস্থা হিসেবে করোনা ভাইরাসের ‘ভ্যাকসিন’ মানুষের শরীরে প্রয়োগ করে। প্রথম পর্যায়ে মোট ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে ‘ভ্যাকসিন’-এর ডবল ডোজ দেওয়া হয়। সংস্থাটি দাবি করছে, প্রথম পর্যায়ের সেই ট্রায়াল সফল হয়েছে।
810
‘ভ্যাকসিন’ দেওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবকদের করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে। একইভাবে অপর মার্কিন সংস্থা ফাইজারও ‘ভ্যাকসিন’ তৈরির কাজে অনেকটাই এগিয়েছে। এমনকী ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ‘ভ্যাকসিন’ নিয় তাঁদের মোটা অঙ্কের চুক্তিও হয়েছে।
910
এদিকে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাস্ট্রাজেনেকা ওষুধ সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ট্রায়াল করছে। ব্রাজিলে এখন চলছে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা।
1010
ভারতেও সেরাম ইনস্টিটিউট শীঘ্রই অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু করবে। আশা করা যাচ্ছে, চলতি বছরের শেষেই বাজারে চলে আসবে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনও।