অভিনেত্রী থেকে ডাক্তার, এক নজরে দেখে নিন প্রথম দফার ৯ নজরকাড়া প্রার্থী

আগামী ২৭ মার্চ অর্থাৎ শনিবার প্রথম দফার নির্বাচন। প্রথম দফায় রাজ্যের পাঁচটি জেলায় মোট ৩০টি কেন্দ্রে নির্বাচন হবে। এই যার মধ্যে রয়েছে জঙ্গলমহলের কয়েকটি কেন্দ্র। প্রথম দফায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে রাজ্যের ১০ হেভিওয়েট প্রার্থী। আর ঝাড়গ্রামকে বলা যেতেই পারে ব্যাটেল গ্রাউন্ড। 

Asianet News Bangla | Published : Mar 25, 2021 10:59 AM IST / Updated: Mar 26 2021, 02:20 PM IST

19
অভিনেত্রী থেকে ডাক্তার, এক নজরে দেখে নিন প্রথম দফার ৯ নজরকাড়া প্রার্থী

 ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে সাঁওতালি সিনেমার মহানায়িকা বীরবাহা হাঁসদাকে। অভিনেত্রী হলেও রাজনীতির সঙ্গে তাঁর নাড়ির যোগ রয়েছে। কারণ তাঁর মা চুনিবালা হাঁসদা ঝাড়খণ্ড নরেন গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এর আগে তিনি অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। কিন্তু এবার ভোটের আগেই জোড়াফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন বীরবাহা। স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য কাজ করার ইচ্ছে থেকেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন বলেও জানিয়েছে। আর বীরবাহাকে সামনে রেখে তৃণমূলো গোষ্ঠীকোন্দল দূরে রেখে ঝাড়গ্রামে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পারবে বলেও আশা করছে। 

29

 মধুজা সেন রায়ের বাড়ি ঝাড়গ্রামে। চরম সংকটের দিনে বামেরা ভূমিকন্যার উপরেই ভরসা রাখছে। কলকাতায় ছাত্র রাজনীতির পরিচিত মুখ মধুজা। অনড় মনোভাব আর হার না মানা জেদই মধুজাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে রাজ্যরাজনীতি। তরুণ প্রজন্ম যখন বামেদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তখন মধুজারাই অক্সিজেন জুগিয়ে গেছেন সিপিএমকে। 

39

সুখময় শথপথী ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের বিজেপি প্রতিনিধি। জেলার প্রথম সারির নেতাও তিনি। প্রধানমন্ত্রী যখন কলাইকুণ্ডায় এসেছিলেন তখন সুখময় হাঁসদাও তাঁকে একটি গালার গণেশ উপহার দিয়েছিলেন। এলাকায় শিল্পি হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম রয়েছে সুখময়ের।  
 

49

অখিল গিরি তৃণমূল কংগ্রেসের রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। দীর্ঘ দিন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূলের ছত্রছায়া থেকে রাজ করে গেছে অধিকারী পরিবার। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের পর কিছুটা হলেও শক্তি পাচ্ছে গিরি পরিবার। বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিকদিক থেকেই গুরুত্ব বেড়েছে অখিল গিরির। তিনি রামনগরের তিন বারের বিধায়ক। এখন দেখার শুভেন্দু দলবদলের পর কতটা ভোট নিজের ঝুলিতে টানতে পারেন তিনি। 

59

 কঙ্কালকাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়া  সুশান্ত ঘোষের ভাগ্য নির্ধারিত হবে আগামী ২৭ মার্চ। শালবনির বাম প্রার্থী তিনি। রাজ্যে পালা বদলের পর থেকেই কিছুটা হলেও কোনঠাসা ছিলেন একটা সময়ের দাপুটে এই নেতা। কিন্তু বর্তমানে ভোট যুদ্ধে সামিল হয়ে নিজের একশো শতাংশ উজাড় করে দিচ্ছেন বলেও দাবি দলীয় কর্মী সমর্থকদের। নিজের এলাকায় ফিরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সামিল হয়ে আগের মতই সহজে পৌঁছে যাচ্ছেন মানুষের কাছে। 

69

পুলিনবিহারী বাস্কে পেশায় চিকিৎসক। তবে এলাকার মানুষের কাছে তিনি বাম নেতা হিসেবেই পরিচিত। দীর্ঘ দিন ধরেই বাম রাজনীতিক সঙ্গে যুক্ত তিনি। আদিবাসী নেতা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সভাধিপতি। সাংসদও হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যকে প্রার্থী করা হয়েছে কেশিয়াড়ির। 

79

 দেবলীনা হেমব্রম ছিলেন বাম আমলের মন্ত্রী। সব কিছুকে ছাপিয়ে তিনি সাধারণ মানুষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন। সিপিএম-এরও একটা প্রচ্ছন্ন গর্ব রয়েছে দেবনীলাকে নিয়ে। আর সেই কারণে বামেদের ব্রিগেডে তিনি ছিলেন শেষ বক্তা।  আদিবাসী নেত্রী মেঠো ভাষাতেই তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছেন। 
 

89

 নেপাল মাহাত দীর্ঘ দিনের পুরুলিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক। জোটে সায় নেই। কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থের জন্য লড়াই করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই কেন্দ্র থেকে চার বার নির্বাচবনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এবার দেখান তৃণমূল আর বিজেপির দাপটে তিনি নিজের জয় ধরে রাখতে পারেন কিনা। 

99

জুন মালিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের অভিনেত্রী প্রার্থী তিনি। একটা সময় বামেদের গড় হিসেবে পরিচিত সেখানেই প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে। দীর্ঘ দিন ধরেই তৃণমূলের মঞ্চে দেখা যেত জুনকে। কিন্তু এই প্রথম তিনি প্রকাশ্যে রাজনীতি এলেন। 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos