আদিবাসী গ্রামে খুন্তি নাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী, শুনলেন তাঁদের অভাব-অভিযোগ

মঙ্গলবার বোলপুরে পদযাত্রা-সভার পর পরের দিন আদিবাসী গ্রামে গলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার সকালে আমারকুঠি বাংলো থেকে বল্লভপুর ডাঙা গ্রামে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে অধিকাংশই আদিবাসী পরিবারের বাস। আচমকা সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে হতবাক সকলেই। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনলেন। সেখানেই গ্রামের একটি হোটেনে খুন্তি নাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। 

Asianet News Bangla | Published : Dec 30, 2020 1:52 PM IST

15
আদিবাসী গ্রামে খুন্তি নাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী, শুনলেন তাঁদের অভাব-অভিযোগ

৪ কিলোমিটার পদযাত্রা করে অমিত শাহকে জবাব দেওয়ার পর মঙ্গলবার বোলপুরেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন রাতে আমারকুঠি বনবাংলোতে রাত্রিযাপন করেন। এরপর, বুধবার সকালে সেখান থেকে বেরিয়ে সটান চলে যান বল্লভপুরডাঙা গ্রামে। সেখানে অধিকাংশ আদিবাসী পরিবারের বাস। 

25

গ্রামে গিয়ে প্রথমে সঞ্জয় দাস নামে এক যবকের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর গ্রামের আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। চোখের সামনে মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়ে তাঁরা তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রীকে। গ্রামের এক বাংলা অনার্সের ছাত্রী বলেন, ''আজও গ্রামের রাস্তা পাকা হয়নি। গ্রামের মাত্র সাতটি টিউবওয়েল দিয়েই যাবতীয় কাজ হয়''।

35


মুখ্যমন্ত্রী সামনে কলেজছাত্রীর আরও অভিযোগ, ''গ্রামে সরকারি বাড়ি ও শৌচালয় নির্মাণ হলেও তা ব্যবহারের অযোগ্য। গ্রামের মধ্যে একটি আদিবাসী মন্দির গড়া হলেও, সেখানে পুজো করার জন্য ঢোকা যায় না। তার জেরে সবাইকে উন্মুক্ত জায়গায় শৌচকর্ম করতে হয়। স্নান করতে হয় জনসমক্ষে''।

45

অভিযোগ পেয়েই জেলাশাসক ও অনুব্রত মণ্ডলকে তড়িঘড়ি শৌচালয় নির্মাণের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই গ্রামে আপাতত ১৩০টি শৌচালয় নির্মাণের নির্দেশ দিলেন মমতা। অভাব অভিযোগ শোনার পর গ্রামের একটি হোটেলে রান্নার কাজে হাত লাগান মুখ্যমন্ত্রী।

55

দোকানের সামনে মোড়ায় বসে চা খান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সেই দোকানে খুন্তি ধরে রান্না করতে শুরু করেন। সেখান থেকে হেলিপ্যাডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানেও কিছু মহিলা বিভিন্ন অভাব অভিযোগ শোনেন মমতা।

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos