Local Train Fare-তিনগুণ বেড়ে গেল লোকাল ট্রেনের ভাড়া, হতবাক নিত্যযাত্রীরা
দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাস পর রবিবার কোভিড আবহের মধ্যেই রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে। আর সোমবার লোকাল ট্রেনে উঠলেই ভাড়া গুণতে হচ্ছে তিনগুণ। সমস্যায় সাধারণ যাত্রীরা। যেখানে ভাড়া ১০টাকা দিতে হত, সেখানে দিতে হচ্ছে ৩০ টাকা।
রাজ্য সরকারের পক্ষ ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রেলের আবেদন খুব প্রয়োজন ছাড়া যাত্রীরা যেন লোকাল ট্রেনে চড়া থেকে বিরত থাকেন। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেছেন, যাত্রীদের কাছে তাঁরা আবেদন করছেন খুব প্রয়োজন না হলে কোনও মানুষই যেন ট্রেনে না চড়েন।
রাজ্য সরকারের পক্ষ ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রেলের আবেদন খুব প্রয়োজন ছাড়া যাত্রীরা যেন লোকাল ট্রেনে চড়া থেকে বিরত থাকেন। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেছেন, যাত্রীদের কাছে তাঁরা আবেদন করছেন খুব প্রয়োজন না হলে কোনও মানুষই যেন ট্রেনে না চড়েন।
লোকাল ট্রেন চালু হতেই ভাড়া বাড়ানোর অভিযোগ উঠছে। বলা হয়েছে প্রায় তিন গুণ ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে লোকাল ট্রেনে। অর্থাৎ যে দূরত্বের ভাড়া ১০টাকা ছিল, সেখানে যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে ৩০ টাকা।
এ রাজ্যে লোকাল ট্রেনের উপর ভরসা করেন বহু মানুষ। ফলে প্রতিদিন প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখা দিয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু, ট্রেন বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছিলেন অনেকেই। সঠিক সময় কাজে যোগ দিতে পারছিলেন না তাঁরা। ফলে ট্রেন চালুর দাবি জানানো হয়েছিল।
কিন্তু, সংক্রমণ না কমায় ৬ মাস লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। এতদিন স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছিল। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাতে তারা লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য প্রস্তুত ছিলই। এখন রাজ্য সরকার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করা হচ্ছে।
তবে সমস্যা কাটেনি। আচমকা কিছু রুটে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। যাত্রীরা বলছেন বর্ধমান হাওড়া মেইন ও কর্ড শাখায় লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত আছে। ভাড়া বাড়ে নি।
কিন্তু বর্ধমান রামপুরহাট কিংবা বর্ধমান আসানসোল রেলপথে লোকাল ট্রেনের ভাড়া তিনগুণ বেড়েছে বলে জানান সাধারণ যাত্রীরা। যেখানে বর্ধমান থেকে গুসকরা এতদিন লোকাল ট্রেনে ভাড়া ছিল দশ টাকা। সেখানে কিন্তু সোমবার থেকে ভাড়া বেড়ে হয়েছে এক লাফে ৩০ টাকা।
ঠিক তেমনি বর্ধমান থেকে বোলপুর স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া ছিল ১৫ টাকা। সোমবার থেকে তা হয়েছে ৩৫ টাকা। সাধারণ যাত্রীরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। তারা রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন।
বর্ধমান হাওড়া মেইন ও কর্ড শাখায় ইএমইউ (Electric multiple unit) লোকাল ট্রেন চলায় সেখানে ভাড়া বাড়েনি। কিন্তু যে রেল শাখায় মেমু (Mainline Electric Multiple Unit) লোকাল ট্রেন চলে সেখানে লোকাল ট্রেনের ভাড়া তিনগুণ বেড়েছে।
অন্যদিকে বর্ধমান কাটোয়া শাখায় যেহেতু ইএমইউ চলে তাই সেখানেও যাত্রী ভাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে। তাই কিছু রুটে ভাড়া বাড়ায় ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।