মাত্র ২০০০ টাকা পাওনা নিয়ে বচসা
তার বলি হল ৪ বছরের এক শিশু
তার গলায় মারা হল ধারালো ছুরির কোপ
হাওড়ার বাঁকড়া বাজার এলাকার ঘটনা
কিছু কিছু ঘটনা ঘটে যা মনুষ্যত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করে। অর্থের লালসার বলি হল চার বছরের এক শিশু। তার গলায় ধারালো অস্ত্র চালাতে দ্বিধা করা হল না। মাত্র দু'হাজার টাকার জন্য। সোমবার এমনি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার বাঁকড়া বাজার এলাকায়। ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়। আততায়ী পলাতক। পুলিশ তাকে খুঁজছে।
বাঁকড়া বাজার এলাকায় একটি বহুতলের উপর একটি কাচের চুড়ি তৈরির ছোট কারখানা রয়েছে। মহম্মদ ইফতেকার নামে এক ব্যক্তি ওই কারখানাটি চালান।ওই বহুতলেই তাঁর পরিবার থাকে। চুড়ি কারখানায় কাজ করত মহম্মদ সেলিম নামে এক যুবক। ইফতেকারের কাছ থেকে তার ছয় হাজার টাকা পাওনা ছিল। সোমবার বিকেলে সেলিম কারখানায় এসে ইফতেকারের কাছে সেই পাওনা টাকা দাবি করে।
ইফতেকার তখনকার মতো তাকে চার হাজার টাকা দিয়ে বাকি দু'হাজার টাকা পরে দেবে বলে জানান। কিন্তু, সেলিম এদিনই পুরো টাকাটা দিতে হবে বলে দাবি জানায়। এই নিয়েই বচসা বেধেছিল দুজনের। কথা কাটাকাটি চলতে চলতে দুজনের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। সেই সময় পাশেই ছিল ইফতেকারের চার বছরের শিশু সন্তান। বাকবিতণ্ডার মধ্যেই আচমকা সেলিম একটা বড় ছুরি বের করে শিশুটির গলায় চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
ইফতেকার জানিয়েছেন, মুহুর্তের মধ্যে তাঁর সন্তান শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঘটনার আকস্মিকতা হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেই সুযোগেই এলাকা ছেড়ে পালায় সেলিম। শিশুটিকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন সেখানে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ডোমজুর থানার পুলিশ। তারা একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। একই সঙ্গে তারা অভিযুক্তের সন্ধানে সর্বত্র তল্লাশি শুরু করেছে। এদিকে এই পৈশাচিক ঘটনার পর বাঁকড়া বাজার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা একই সঙ্গে নিরপরাধ শিশুটির মৃত্যুতে বেদনাহত, সেই সঙ্গে অবিলম্বে অভিযুক্ত সেলিম-কে গ্রেফতার করে তাকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা।