বডিব্যাগ খোলার 'চার্জ' ৫১০০০ টাকা, করোনায় মৃত বাবাকে শেষ দেখা হল না ছেলের

বডিব্যাগ খুলে দেহ দেখানোর 'চার্জ' ৫১০০০ টাকা

পুলিশ-এর অনুরোধেও হল না কাজ

করোনায় মৃত বাবাকে শেষ দেখা হল না ছেলের

হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে গুরুতর অভিযোগ

amartya lahiri | Published : Aug 10, 2020 6:21 PM IST / Updated: Aug 13 2020, 01:30 PM IST

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছে বাবার। কিন্তু হাসপাতাল থেকে খবর বাড়িতে খবর দেওয়া হল অনেক পরে। ছেলে যখন হাসপাতালে এলেন ততক্ষণে দেহ চলে গিয়েছে শ্মশানে। আর শ্মশানে উপস্থিত হয়ে দেহ দেখতে চাইলে, চাওয়া হল ৫১,০০০ টাকা। এমনই ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

মৃত ব্যক্তির পুত্র সাগর গুপ্তের দাবি তাঁর বাবা হরি গুপ্তের মৃত্যু হয়েছিল রবিবার ভোর ১টার সময়। কিন্তু, ওই বেসরকারি হাসপাতাল তাঁদের সেই খবর দেন রবিবার বিকেলে। কেন আগে জানানো হয়নি, এই প্রশ্নের উত্তরে হাসপাতাল কর্তৃরপক্ষ দাবি করে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কোনও তথ্য নাকি হাসপাতালের কাছে ছিল না। অথচ ভর্তির সময়ই সব বিশদে লিখে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন সাগর গুপ্ত।

এরপর সাগর ও পরিবারের আরও কয়েকজন হাসপাতালে পৌঁছলে, তাঁদের জানানো হয় যে ইতিমধ্য়েই হরি গুপ্তের দেহ শ্মশানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা তড়িঘড়ি করে যান শিবপুর শ্মশানে। সেখানে গিয়ে দেখেন বাবার দেহ বডিব্যাগে মোড়া। একবার শেষ দেখা দেখতে চাওয়ায়, হাসপাতালের কর্মীরা বডিব্যাগ খোলার জন্য, সাগর গুপ্তর কাছ থেকে ৫১,০০০ টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে সাগর গুপ্ত ও তাঁদের পরিবারের অন্যান্যরা তর্কাতর্কি শুরু করলে ওই কর্মীরা নাকি 'চার্জ' কিছুটা কমিয়ে ৩১,০০০ টাকায় রাজি হয়েছিল। এরপরই ওই পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়।

একজন পুলিশ অফিসার শ্মশানে এসে হাসপাতালের আধিকারিকদের হরি গুপ্তের দেহ দেখানোরক অনুরোধ করলেও তাঁরা তা কানে নেয়নি বলে অভিযোগ। সাফ জানিয়ে দেয়, পুলিশের উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এমনকতী এই পুরো বিষয়টা নিহত-এর পরিবারের সদস্যরা মোবাইলে ভিডিও রেকর্ডে করার চেষ্টা করলে, তাঁদের ফোনও ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত, হরি গুপ্তকে আর শেষ দেখতে পায়নি তাঁর পরিবার। এই বিষয়ে এখন লিখিতভাবে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার কথা ভাবছেন সাগর গুপ্ত।

 

Share this article
click me!