প্রতি বছর পাকিস্তানে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য হয় ১০০০ হিন্দু নাবালিকা, সামনে এল ভয়ঙ্কর রিপোর্ট

অপহরণ করে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তর এবং বয়স্ক পুরুষদের সঙ্গে বিবাহ

পাকিস্তানের সংখ্যালঘু নাবালিকাদের সঙ্গে এমনটাই চলছে

প্রতি বছর অন্তত ১০০০ নাবালিকার এই পরিণতি হয়

কোভিডকালে এই প্রবণতা আরও বেড়েছে

 

amartya lahiri | Published : Dec 30, 2020 9:58 AM IST

পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাবালিকাদের জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয় এবং তাদেরকে দ্বিগুণ বেশি বয়সী পুরুষদের সঙ্গে বিবাহ দেওয়া হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই বিবাহ হয় মেয়েটির সম্মতি ছাড়াই। সংবাদ সংস্থা এপি-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। তারা বলেছে, প্রতি বছর পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক হাজারেরও বেশি নাবালিকাকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়।

মানবাধিকার কর্মীরা দাবি করেছেন, কোভিড-১৯ লকডাউনের সময় এই জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিবাহ দেওয়ার প্রবণতা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। কারণ, এই সময়ে পাকিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘু পরিবারগুলি আরও বেশি করে ঋণের জালে জড়িয়ে গিয়েছে। ফলে তাদের অর্থের লোভ দেখিয়ে তাদের ঘর থেকে নাবালিকাদের তুলে নিয়ে যাওয়াটা সহজ হয়েছে এই কনে পাচারকারীদের পক্ষে। আর এই সময়কালে ইন্টারনেটেও তাদের সক্রিয়তা বেড়েছে।

প্রসঙ্গত চলতি মাসের শুরুতেই মার্কিন বিদেশ দফতর ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের জন্য পাকিস্তানকে 'বিশেষ উদ্বেগের দেশ' হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত মার্কিন কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে, সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টান এবং শিখ সম্প্রদায়ের নাবালিকাদের জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার জন্য অপহরণ করা হয়। জোর করে তাদের বিবাহ দেওয়া হয় এবং ধর্ষণের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়।

পাক মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, এই চক্রে একাংশের ইসলামী আলেম, সরকারি ম্যাজিস্ট্রেট, স্থানীয় পুলিশ - সকলেই যুক্ত। তবে তাদের মতে এই অপহরণের পিছনে ইসলামে ধর্মান্তরিত করাটা মূল কারণ নয়, মূল কারণ সংখ্যালঘু কুমারি নাবালিকাদের দখল করা।

পাকিস্তানের হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসাবে থাকতে হয়। বাসস্থান, চাকরি, সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়া - জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে বৈষম্যের শিকার হতে হয় তাদের। পাকিস্তানি হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের দাবি এই কারণে বহু হিন্দু পরিবারই এখন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছেন।

Share this article
click me!