কোভিড মহামারির সময়ে বিশ্বের প্রচুর মানুষ কাজ হারিয়েছেন
কিন্তু, ফ্রন্টলাইন কর্মীদের চাহিদা বেড়েছে
অথচ চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হল পেরুর এক পুলিশ কর্তাকে
এক যুবতীকে চুমু খেয়েই কাজ হরালেন তিনি
কোভিড মহামারির সময়ে বিশ্বের প্রচুর মানুষ কাজ হারিয়েছেন, বহু মানুষের হয়েছে বেতনে কাটছাঁট। কিন্তু, কোনও পুলিশ কর্মী বা অন্য কোনও ফ্রন্টলাইন কর্মী এই কঠিন সময়ে কাজ হারিয়েছেন, এমনটা শোনা যায়নি। বরং, করোনাকালে এই সম্মুখ সমরে থাকা কর্মীদের অভাবই দেখা দিয়েছে। কিন্তু, এই আপাত অসম্ভবকেও সম্ভব করে দেখালেন পেরুর এক পুলিশ অফিসার। যাকে মহামারির সময়ে সময়ে কর্তব্যে চূড়ান্ত গাফিলতি বলে চিহ্নিত করেছেন নেটিজেনরা।
ঘটনাটি ঘটেছে পেরুর রাজধানী লিমা শহরের মীরাফ্লোরিস বোর্ডওয়াক এলাকায়। জানা গিয়েছে, মহামারিকালীন নির্দেশিকা উপেক্ষা করে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেড়িয়েছিলেন ওই শহরের এক যুবতী মহিলা। তাঁকে সেই অপরাধে আটকেছিলেন অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার। তিনি ওই মহিলাকে জরিমানা করতে যেতেই ওই মহিলা, পুলিশ অফিসারটিকে চুম্বন করার প্রস্তাব দেয়। আর ঠোটে ঠোট মেলানোর বিনিময়েই ওই মহিলাকে ছেড়ে দেন ওই পুলিশ কর্তা বলে অভিযোগ।
স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেল ওই ঘটনার ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ায় বিষয়টি কর্তৃপক্ষের মজরে আসে। ওই ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে রাস্তার পাশে পার্ক করে রাখা দুটি গাড়ির মাঝখানে অভিযুকক্ত পুলিশ অফিসার ও ওই মহিলা দাঁড়িয়ে আছেন। মহামারির নির্দেশিকা লঙ্ঘনের জন্য মহিলাকে জরিমানা করার পুলিশ অফিসার তাঁর বিশদ লেখার চেষ্টা করতেই ওই মহিলা চুম্বনের বিনিময়ে তাঁর জরিমানা মকুব করার জন্য তাকে রাজি করানোর চেষ্টা করে। কয়েক মুহূর্ত পরই, তাদের একে অপরকে চুমু খেতে দেখা যায়।
ঘটনাটি জানাজানি হতেই, লিমা শহরের মেয়র লুইস মোলিনা ওই পুলিশ কর্তাকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করেছেন বলে জানিয়েছে লিমা পুলিশ বিভাগ। ওই অফিসার চুম্বনের টানে বেশ কয়েকটি বিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে জানিয়েছে তারা। প্রথমত, ওই যুবতীর সঙ্গে তিনি সামাজিক দূরত্বের নিয়ম ভেঙেছেন। চুম্বনের জন্য প্রকাশ্য এলাকায় মাস্ক খুলে ফেলাটাও কোভিড বিধি সম্মত নয়। পুলিশ অফিসার হিসাবে এই পদক্ষেপটি অত্যন্ত গুরুতর এবং এই কারণেই তাকে সাময়িকভাবে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।