পাইলট থেকে হয়ে গেলেন ডেলিভারি ম্যান, বিমান ছেড়ে এখন চালাচ্ছেন সাইকেল

বাণিজ্যিক বিমান সংস্থার হয়ে বিমান চালাতেন

এখন তাঁকে চালাতে হচ্ছে সাইকেল

বাড়ি বাড়ি খাবার সরবরাহ করছেন

কিন্তু কেন এমনটা করলেন তিনি

 

amartya lahiri | Published : Jun 17, 2020 4:14 PM IST

গত চার বছর ধরে এক থাই বাণিজ্যিক বিমান সংস্থায় সহ-বিমানচালক বা কোপাইলট হিসাবে কাজ করতেন নাকারিন ইন্টা। কিন্তু এখন উড়োজাহাজ ছেড়ে তাঁকে চালাতে হচ্ছে সাইকেল। এক স্থানীয় অনলাইন মেসেঞ্জার অ্যাপের হয়ে বাড়ি বাড়ি খাবার সরবরাহ করে থাকেন তিনি। না শখ করে এমনটা করেননি। কোভিড-১৯ মহামারির দৌলতে বেশিরভাগ উড়ান বন্ধ। তাই অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে বউ মেয়ের মুখে খাওয়ার তুলে দিতে তাঁর এছাড়া আর উপায় ছিল না।য

ইন্টা অবশ্য একা নয়। তাঁর মতো দেশে দেশে চালক, বিমানসেবিকা-সহ এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলির কর্মিদের সকলেরই প্রায় এক অবস্থা। বস্তুত খাদ্য সরবরাহ করে উপার্জনের বিকল্প পথের সন্ধান ইন্টা পেয়েছিলেন তাঁর এক সবকর্মীর কাছ থেকেই। ইন্টা জানিয়েছেন তাঁদের উড়ান সংস্থার একাংশকে বিনা বেতনে ছুটি দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বেতনে কাটছাঁট করা হয়েছে।

৪২ বছরের ওই যুবক জানিয়েছেন, তাঁদের কাউকেই চাটাই করা হয়নি। কিন্তু, তাঁদের উপার্জন নির্ভর করে কতগুলি উড়ান তাঁরা সম্পন্ন করেচেন, তার উপর। এই মুহূর্তে মহামারির কারণে হাতে গোণা বিমান যাওয়া-আসা করছে। তাই কাজ পাচ্ছেন খুবই কম। তিনি এবং তাঁর অনেক বন্ধু-সহকর্মীরাই আবার আগের অবস্থা ফিরে না আসা অবধি তাঁর মতো খাদ্য সরবরাহ বা অন্যান্য ছোটখাটো কাজ করতে শুরু করেছেন।

কিন্তু, বিমান চালকের স্বপ্নের চাকরি থেকে সাইকেলে চড়ে বাড়ি বাড়ি খাওয়ার পৌঁচে দেওয়ার অভিজ্ঞতা ঠিক কেমন? ইন্টা জানিয়েছেন, প্রথমবার যখন অর্ডার পেয়ে তিনি গ্রাহকের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছিলেন সেই সময় এক 'দুর্দান্ত অনুভূতি' হয়েছিল। মনে মনে বিশ্বাসটা জোরদার হয়েছিল যে তিনি এই কাজটাও করতে পারেন। অনেকটা প্রথমবার বাণিজ্যিক বিমান চালানোর মতোই। তবে প্রতি মুহূর্তেই তিনি তাঁর সহকর্মীদের, তাঁর ক্যাপ্টেন, কেবিন ক্রু এবং সমস্ত স্টাফের অভাব বোধ করছেন।

 

Share this article
click me!