করোনা ভাইরাসের আঁতুড় ঘর বলে পরিচিত চিন। সে দেশে সবে মাত্র করোনা পরিস্থিতি সামলে উঠেছিল। এর মধ্যেই শুরু নতুন আতঙ্ক। সমগ্র বিশ্ব যখন করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যস্ত, ঠিক তার মধ্যেই হানা দিল আরও এক নয়া আতঙ্ক। নাম হান্টা ভাইরাস। করোনা ভাইরাস এর পরে পরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে সোয়াইন ফ্লু ও বার্ড ফ্লু এর মত সমস্যা। তবে হান্টা ভাইরাস টা কী? জেনে নেওয়া যাক এই নতুন এই ভাইরাসের সম্বন্ধে।
সম্প্রতি টুইটারে চায়না গ্লোবাল টাইমস এর পক্ষ থেকে বিশেষ এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চিনের এক ব্যক্তির শরীরে পজেটিভ হান্টা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনান প্রদেশের সেই বাসিন্দা সেনডনে অফিস যাওয়ার পথে বাসেই মারা যান। দ্যা সেন্টার অফ ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন অর্থাৎ সিডিসি এই বিষয়ে জানিয়েছে, এই ভাইরাস মূলত ইঁদুর বা ওই জাতীয় প্রাণীর থেকে মানব শরীরে ছড়ায়। ঠিক যেমন প্লেগ।
হান্টা ভাইরাসের লক্ষণ-
হান্টা ভাইরাসের পালমোনারি সিনন্ড্রম - এই ভাইরাসের মূল লক্ষণগুলি হল অবসাদ, জ্বর, খিঁচুনি বিশেষ করে থাই ও ব্যাক মাসল-এ। হান্টা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে মাথা ব্যথা ও ঝিমুনি ভাব সেই সঙ্গে অ্যাবডোমিনাল সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যদিও এই ভাইরাস পরীক্ষার মাধ্য়মে ধরা পরে আক্রান্ত হওয়ার ১০ দিন পর থেকে। সেই সঙ্গে আক্রান্তের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসজনিত সমস্যা ও সর্দি-কাশির সমস্যা।
হান্টা ভাইরাসের রেনাল সিনন্ড্রম- এই ভাইরাস দুই সপ্তাহের মধ্যেই বৃদ্ধি পেয়ে মানব শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খুব কম। হান্টা ভাইরাসের রেনাল সিনন্ড্রমে আক্রান্ত হলে প্রায় আট সপ্তাহ মত সাধারণ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যার প্রাথমিক লক্ষণগুলি হল মাথা ব্যাথা ও লোয়ার অ্যাবডোমিনালে ব্যাথা, জ্বর, সর্দি, ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি। সেই সঙ্গে দেখা দিতে পারে লো ব্লাড প্রেসারের সমস্যাও। সব থেকে বড় চিন্তার বিষয় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে লিভার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।