ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে লেগেছে বিরোধ
তারমধ্যেই মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প
সেই প্রস্তাব বৃহস্পতিবারই ফিরিয়ে দিয়েছিল ভারত
এরপর শুক্রবার চিনও সেই প্রস্তাব নিয়ে মুখ খুলল
ঠিক যেন দুই ভাইয়ে প্রবল ঝগড়া। কিন্তু, বাইরের কেউ তাতে নাক গলাতে আসলে, দুজনেই এককাট্টা হয়ে যায়, সেইরকম অবস্থা। বৃহস্পতিবার ভারত বলেছিল, শুক্রবার চিন-ও মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল। চিনের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, ভারত ও চিনের মধ্যে চলমান সীমান্তের দ্বন্দ্বের অবসান দুই দেশ নিজেরাই মিটিয়ে নেবে, কোনও তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন নেই।
লাদাখ এবং উত্তর সিকিমের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বেশ কয়েকটি অঞ্চলে গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ভারত এবং চিনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। এরই মধ্যে গত বুধবার আচমকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ও চিনের সীমান্ত বিরোধে 'মধ্যস্থতা বা সালিশি' করার প্রস্তাব দদেন। তিনি বলেন, এই দুই এশীয় শক্তির মধ্যে তিনি উত্তেজনা লাঘব করতে 'প্রস্তুত, ইচ্ছুক এবং সক্ষম'।
ট্রাম্পের প্রস্তাব ভারত বৃহস্পতিবারই ফিরিয়ে দিলেও এতদিন এই বিষয়ে কিছু বলেনি চিন। শুক্রবার চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝা লিজিয়ান বলেছেন, ভারত ও চিন দুই দেশই তাদের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে স্ট্যান্ডঅফ অবস্থান রয়েছে তার নিরসনে কোনও তৃতীয় পক্ষের 'হস্তক্ষেপ' চায় না। তিনি আরও জানান, 'চিন ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত-সম্পর্কিত ব্যবস্থা ও যোগাযোগের চ্যানেল রয়েছে। আমরা আলাপ ও আলোচনার মাধ্যমেই আমাদের মধ্যের (দ্বন্দ্বমূলক) বিষয়গুলি সঠিকভাবে সমাধান করতে সক্ষম। আমাদের তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের দরকার নেই'।
বৃহস্পতিবার ভারত ট্রাম্পের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পরও ফের মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও একবার ভারত ও চিনের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। সঙ্গে বলেছিলেন চিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মেজাজ ভালো নেই। ভারত সরকার অবশ্য এদিন সেই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এর মধ্যে কোনও কথাই হয়নি।