বিয়ার উৎসবে সামিল হতে উৎসাহীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। অনেকেই জার্মানির ঐতিহ্যবাহী বাভারিয়ান পোশাক পরে বিয়ার উৎসবে সামিল হয়েছিলেন। এটি বিশ্বের প্রাচীনতম ও জনপ্রিয় বিয়ার উৎসব। প্রায় ২০০ বছর আগে সূচনা হয়েছিল।
শুরু হয়ে গেল জার্মানির ঐতিহ্যবাহী বিরায় উৎসব। করোনাভাইরাসের সংক্রনণের কারণে টানা দুই বছর বন্ধ ছিল প্রাচীন এই উৎসব। যা স্থানীয়দের কাছে অক্টোবরফেস্ট নামে পরিচিত। শনিবার সকালে মিউনিখের মেয়র দিদিয়ের রাইটার একটি হাতুড়ি ঠুকে বিয়ার উৎসবের সূচনা করেন। প্রথম কেগের মধ্যে টোকা ঢোকানোর মাধ্যমেই চলতি বছর এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। রিটার তাঁর আঞ্চলিক সরকারের প্রধান মার্কস সোডারকে প্রথম বিয়ারের গ্লাসটি অফার করেন।
বিয়ার উৎসবে সামিল হতে উৎসাহীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। অনেকেই জার্মানির ঐতিহ্যবাহী বাভারিয়ান পোশাক পরে বিয়ার উৎসবে সামিল হয়েছিলেন। এটি বিশ্বের প্রাচীনতম ও জনপ্রিয় বিয়ার উৎসব। প্রায় ২০০ বছর আগে সূচনা হয়েছিল। এপর্যন্ত ২৬ বার বাতিল হয়েছে বিয়ার উৎসব। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টানা বাতিল হয়েছিল এই উৎসব। তবে কলেরা মহামারির কারণেই বাতিল হয়েছিল। করোনার জন্য হত দুই বছর হয়নি বিয়ার উৎসব।
জার্মানির মিউনিখে অক্টোবরফেস্টের দিকে চোখ থাকে গোটা বিশ্বের। বিশ্বের অনেক দেশ থেকেই আসেন দর্শনার্থী ও পর্যটকরা। এটি জার্মানির পর্যটন মরশুমও।
জার্মানির কাল্ট স্টেটাস সিম্বল হল বিয়ার। অক্টোবরফেস্ট থেকে প্রায় ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের আশা করছে জার্মান সরকার। তবে চলতি বছর বিশে কিছু কারণে সংকটে রয়েছে জার্মানির বিয়ার শিল্প। যারমধ্যে অন্যতম হল অর্থনৈতিক সংকট। জার্মানির ব্রিউয়ার্স ফেডারেশন ডিবিবি শুক্রবার শুক্রবারই বিয়ার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ এই মুহূর্তে জার্মানিতে জ্বালানির দাম আকাশ ছোঁয়া, তাতে ব্যাহত হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ। যার প্রভাব পড়েছে অক্টোবরফেস্টের দর্শকদের ওপর। কারণ সেখানে এক লিটারের বিয়ারমগের দাম পড়ছে ১২.৬০ থেকে ১৩.৮০ ইউরো। যা ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে বিয়ার উৎসব।
২০১৯ সালে শেষবার যখন অক্টোবরফেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেই সময় ৬০ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন। ১৮৭তম উৎসবটি কোভিড সতর্কতা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাক্স আর নিরাপদ শারীরিক দূরত্ববিধির কোনও প্রয়োজন নেই বলেও জানান হয়েছে। শনিবার স্থানীয় সংবাদপত্রে কোভিড সংক্রমণ বাড়তে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কিন্তু সেদিকে হুঁশ নেই দর্শকদের।