আফগানিস্তানে শুক্রবার নমাজের সময় একটি মসজিদে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৬২ জন নিহত হয়েছেন। আফগানিস্তানের নানগাহর প্রদেশে এই বিস্ফোরণের জেরে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। আফগানিস্তানের কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
নানগাহর প্রদেশের মুখপাত্র আতাউল্লাহ খোগাইনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ঘটনায় ৩৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর মসজিদের ছাদ ভেঙে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী মালিক মহম্মদি গুল সিনওয়ারি জানিয়েছেন, 'জীবনে কখনও এত ভয়াবহ দৃশ্য দেখিনি। হঠাৎ করে বিস্ফোরণে মসজিদটা কেঁপে ওঠে।' নানগাহর প্রদেশের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, 'বিস্ফোরণের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছই। মৃতদেহগুলো এদিক ওদিক ছড়িয়ে রয়েছে। আহতরা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।'
এই হামলার নেপথ্যে কে রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তালিবান জঙ্গিগোষ্ঠী এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে। পাশাপাশি আফগানিস্তানের নানগাহর প্রদেশে আইএস ও তালিবান দুই জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে এই হামলার নেপথ্যে আইএস থাকতে পারে। তালিবান মূলত আফগানিস্তানে নিরাপত্তা রক্ষীদের ওপর নিশানা করে হামলা চালায়। অন্য দিকে, আইএস সবার সাধারণ নাগরিক ও নিরাপত্তা রক্ষী উভয়ের উপরই হামলা চালায়।
রাষ্ট্রসংঘ একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০১৯ সালে আফগানিস্তানে সাধারণ নাগরিককে লক্ষ্য করে হামলার হার অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জঙ্গি হামলায় যতজন নিহত হয়েছেন, তার ৪১ শতাংশ শিশু ও মহিলা।