বাংলাদেশে বর্তমান প্রশাসন মৌলবাদীদের অঙ্গুলি হেলনে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে যেভাবে উঠেপড়ে লেগেছে বাংলাদেশ সরকার, তাতেই বিষয়টি স্পষ্ট।
জেএমবি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মতো কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীরা জেল থেকে পালিয়ে গিয়েছে। অনেক সন্ত্রাসবাদীকে জেল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু ইসকনের মতো ধর্মীয় সংগঠনকে মৌলবাদী বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই সন্ন্যাসীর হয়ে যে ৫১ জন হিন্দু আইনজীবী আদালতে লড়াই করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৭ জন আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার ফের চিন্ময়কে আদালতে পেশ করা হবে। বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, কোনও আইনজীবীই যাতে আদালতে চিন্ময়ের হয়ে লড়াই করতে না পারেন, সেই কারণেই তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চিন্ময়কে আদালতে পেশ করার সময় বিশৃঙ্খলা
এর আগে যেদিন চিন্ময়কে আদালতে পেশ করা হয়, সেদিন তুমুল অশান্তি, বিশৃঙ্খলা হয়। চিন্ময়ের পক্ষে দাঁড়ানো একজন আইনজীবীকে হত্যা করে হামলাকারীরা। এই ঘটনার পরেই চিন্ময়ের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাংলাদেশের হিন্দুরা কটাক্ষ করে বলছেন, নিজেদের আইনজীবীর উপর কেন হামলা চালাবেন চিন্ময়ের অনুগামীরা? যারা হামলা চালিয়ে আইনজীবীকে খুন করল, তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ বাংলাদেশের হিন্দুদের।
সাংবাদিকদের উপরেও হামলা
বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, চিন্ময়কে আদালতে পেশ করার দিন যখন হামলা চালানো হয়, তখন সাংবাদিকরাও আক্রান্ত হয়। তাঁদের ক্যামেরা কেড়ে নেয় হামলাকারীরা। পরে ক্যামেরা ফেরত দেওয়া হলেও, মেমোরি কার্ড ফেরত দেওয়া হয়নি। সাংবাদিকরা যাতে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরেত না পারেন, তার জন্যই মেমোরি কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
চিন্ময়কৃষ্ণ দাস কবে মুক্তি পাবেন? মঙ্গলবার বাংলাদেশের আদালেতের শুনানির দিকে তাকিয়ে হিন্দু সনাতনীর
ভারতের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ! বাংলাদেশের সিনিয়র সাংবাদিক মুন্নি সাহার উপর হামলা