বাংলাদেশে ইসকনের প্রাক্তন সদস্য ভিক্ষুচিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে এখনও জেলে আরও এক মাস কাটাতে হবে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া চিन्मয় কৃষ্ণ দাসকে জামিনে আনার জন্য কোনো আইনজীবী এগিয়ে আসছেন না। ইসলামিক কট্টরপন্থীদের হুমকির কারণে কোনো আইনজীবীই তাঁর মামলা নিতে রাজি নন। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মামলা লড়তে রাজি হওয়া আগের আইনজীবীর উপর কট্টরপন্থীরা প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছিল, তিনি আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
ইসকন ইন্ডিয়া সোমবার জানিয়েছে যে চিन्मয় কৃষ্ণ দাসের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী রমেন রায়ের উপর ইসলামিক কট্টরপন্থীরা নির্মমভাবে হামলা চালিয়েছে। তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। রায় হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। কট্টরপন্থীরা ক্রমাগত হামলা ও হুমকি দিয়ে বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে। তাঁর জামিনের জন্য এখন কোনো আইনজীবী এগিয়ে আসছেন না। সর্বত্র ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ।
চিন্ময়কৃষ্ণ দাসর শুনানি মঙ্গলবার হয়েছে। কিন্তু তাঁর আগের আইনজীবী রায়ের উপর হামলা এবং অন্যান্য আইনজীবীদের হুমকির পর কোনো আইনজীবীই তাঁর পক্ষে লড়তে এগিয়ে আসেননি। চট্টগ্রামের একটি আদালতে চিन्मয় কৃষ্ণ দাসকে কোনো আইনজীবী না পাওয়ায় তাঁকে এখনও এক মাস জেলে থাকতে হবে।
রায়ের উপর হামলার পর কট্টরপন্থীরা ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে যে চিন্ময়কৃষ্ণ দাস পক্ষে যেই এগিয়ে আসবে, তাকে প্রকাশ্যে মারধর করা হবে। জানা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মুসলিম আইনজীবীরা ক্রমাগত তাঁদের হিন্দু সহকর্মীদের ভয় দেখাচ্ছেন এবং হুমকি দিচ্ছেন। চট্টগ্রামের এক সাধু জানিয়েছেন, কিছু আইনজীবীর চেম্বারে ভাঙচুর করা হয়েছে এবং হিন্দু আইনজীবীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ২৫ নভেম্বর ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে। দাসের গ্রেফতারের পর ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। দাসকে জেলে দেখতে যাওয়া আরও দুই ভিক্ষুকেও ২৯ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের একটি আদালত চিन्मয় দাসের পরবর্তী শুনানির তারিখ ২ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে।